কনকনে শীতে কোলের শিশু নিয়ে ট্রেন থেকে ট্রেনে ছোটেন নারী রেলকর্মীরা
ছোট্ট শিশু কোলে। কম্বল মুড়িয়ে শিশুটিকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন নাহিদা হোসেন। তিনি রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার। একেক সময় একেক স্টেশনের দায়িত্বে থাকেন তিনি। শীতের ভোরে যখন তার কোলের শিশু পরম মমতায় ঘুমে থাকার কথা মায়ের পাশে, তখন সে ছিল মায়ের সঙ্গেই ডেমু ট্রেনে। কারণ প্রতিদিন ভোর হলে তাকেও ছুটতে হয় মায়ের সঙ্গে এই স্টেশন থেকে ওই স্টেশনে।
গল্পটি সোমবার ভোর ৬টার। কনকনে শীত। কুয়াশা চাদর ভেদ করে চট্টগ্রাম থেকে পটিয়ায় যাত্রী নিয়ে ছুটছে ডেমু কমিউটার ট্রেন। চালকের আসনে বসা এক নারী। পরিচালকের ভূমিকায় গার্ড রুমে থাকা মানুষটিও নারী। আবার পটিয়া ও ধলঘাট স্টেশনে যাবে দুই স্টেশন মাস্টার। তারাও আছেন এই ট্রেনে। তারাও নারী।
এ চার নারী রেলকর্মীর নেতৃত্বে ইঞ্জিনের হুইসেল ও পরিচালকের বাঁশির আওয়াজ দিয়ে চট্টগ্রাম-পটিয়ায় যাত্রী নিয়ে ছুটে চলে ট্রেন।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) এই চার নারীর ডেমু ট্রেম পরিচালনার বিষয় যাত্রীদের নজর কারে। কোথাও উৎসুক মানেুষের ভিড় জমায় তাদের দেখতে।
সোমবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে ডেমু ট্রেনটি পটিয়ার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। এই ট্রেন চালায় সহকারী লোকোমাস্টার কুলসুম আক্তার। আর পরিচালক ছিলেন পরিচালক কামরুন্নাহার।
এছাড়া পটিয়ার সোমবার স্টেশন মাস্টারের দায়িত্ব পালন করবেন সামসুন নাহার। ধলঘাট স্টেশনে মাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নাহিদা হোসেন।
ডেমু ট্রেনটির পরিচালকের (গার্ড) দায়িত্ব পালন করা কামরুন্নাহার বলেন, ‘আমাদের রোস্টার অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হয়। সকাল ৬টায় ডেমু ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে পটিয়ায় যায়। পটিয়া থেকে চট্টগ্রামে সকাল ৮টায় ছেড়ে আসে। একইভাবে দোহাজারীর উদ্দেশ্যে ডেমু ট্রেন ছাড়ে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে। দোহাজারী থেকে ৭টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে।
পটিয়ার স্টেশন মাস্টার মো. শামছুজ্জামান জানান, একসাথে এত নারীর সমন্বয়ে ট্রেন পরিচালনা খুব একটা চোখে পড়ে না, তাই তাদের কার্যক্রম দেখতে উৎসুক যাত্রীদের ভিড় জমে যায়।
এমএফও