একাই ২৬ স্কুলের সনদ দেন এই অফিস সহকারী!

‘শুধু একটি বিদ্যালয়ের নয়, ২৬টি বিদ্যালয়ের সনদ দিই আমি। লাগলে বিদ্যালয়ে এসে নিতে পারেন।’ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় মুঠোফোনে এভাবেই বললেন চট্টগ্রামের আনোয়ারার হাজীগাঁও শোলকাটা এসজে নিজাম উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ফজলুল কবির। তিনি বিদ্যালয়ে বসে টাকার বিনিময়ে দেন অন্য বিদ্যালয়ের সনদ। করেন ঝাড়ফুঁকও। তার ডাক নাম ফজলুল কবির হলেও বিদ্যালয়ের বেতন তোলেন ফজলুল করিম নামে।

দীর্ঘদিন ধরে তিনি চন্দনাইশের কানাইমাদরী অলি আহমদ বীর বিক্রম জুনিয়র বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভুয়া সনদ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি তিনি চন্দনাইশের একটি বিদ্যালয়ের আনোয়ারা বেলচুড়া গ্রামের নজির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম ও কৈখাইন গ্রামের শওকত আলীর মেয়ে সাদিয়া সুলতানা সাইবার অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রউফের কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‌‘আমি ফোনে কারও সাথে কথা বলি না। সরাসরি দেখা করে কথা বলি।’

বিদ্যালয়ের সনদ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দনাইশের কানাইমাদরী অলি আহমদ বীর বিক্রম জুনিয়র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিঠু কুমার দাশ বলেন, ‘আমার জানা মতে আমাদের বিদ্যালয়ের ওই নামে কোনো শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়নি। সনদগুলো আমাদের বিদ্যালয়ের নয়, এগুলো বিদ্যালয়ের নাম দিয়ে জাল তৈরি করেছে। যারা জাল জালিয়াতির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আনোয়ারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌস হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এখনও কিছু জানি না। খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!