একদিনেই শনাক্ত ৫১৮১, করোনার ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ

চট্টগ্রামের ৬ জনসহ ৪৫ মৃত্যু

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর সংক্রমণের সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠেছিল গত বছরের জুন-জুলাই মাসে। ওই সময়ে, বিশেষ করে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার হাজার রোগী শনাক্ত হতো। এরপর বেশ কিছুদিন পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকার পর এক মাসের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়িয়ে গেল অতীতের সকল রেকর্ড।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১৮১ জন রোগী। একই সময়ে করোনার কাছে হার মানেন আরও ৪৫ জন।

মৃত ৪৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৮ জন, চট্টগ্রাম ছয়জন, রাজশাহী পাঁচজন, খুলনায় তিনজন, বরিশালে একজন, রংপুরে একজন ও ময়মনসিংহে একজনের মৃত্যু হয়।

সোমবার (২৯ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এর আগে একদিনে এত বেশি রোগী শনাক্ত হয়নি। গত বছরের ২ জুলাই করোনায় সর্বোচ্চ ৪ হাজার ১৯ জন রোগী শনাক্তের খবর পাওয়া গিয়েছিল।

এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট ৬ লাখ ৮৯৫ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮ হাজার ৯৪৯ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৮ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ১৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ।

দেশে সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তবে গত পাঁচ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!