ঢাকার গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত এক রোগীর স্বজন ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যান, এমডি, সিইও, পরিচালক, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক-নার্স ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ কাজের কারণে রোগীদের মৃত্যুর অভিযোগ এনে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ইউনাইটেড হাসপাতালের শীর্ষ পর্যায়ের ৫-৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যান পদে আছেন হাসান মাহমুদ রাজা। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে আছেন ফরিদুর রহমান খান।
ঝুঁকিপূর্ণ ও নিম্নমানের তাঁবু ব্যবহারের ফলে আগুন লাগার মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে করোনা ইউনিট ভস্মীভূত হয় বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, ‘অভিযোগকারী তো অনেকের পদ উল্লেখ করেছেন, কিন্তু সবাই তো আর অপরাধী নয়। তদন্ত করে আরও নিশ্চিত হতে হবে যে, ওই ঘটনার জন্য আসলে কে দায়ী?’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস রোগীদের জন্য হাসপাতাল ভবনের সামনে তাঁবু টাঙিয়ে অস্থায়ী একটি ইউনিট করেছিল ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ। গত ২৭ মে রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই আইসোলেশন ইউনিটে আগুন লেগে ভারনন অ্যান্থনী, মো. মাহবুব, মো. মনির হোসেন, খোদেজা বেগম ও রিয়াজ উল আলম নামে পাঁচজন মারা যান। এদের মধ্যে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
ভারনন অ্যান্থনীর জামাতা রোনাল্ড মিকি গোমেজ ৩ জুন গুলশান থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন।