একটি রুমে বড় টেবিল নিয়ে বসে আছেন এক ব্যক্তি। টেবিলের ওপর ফাইল-দলিল দস্তাবেজের স্তূপ, রয়েছে কম্পিউটার ও প্রিন্টার। চেয়ারে বসে কম্পিউটারের কিবোর্ড চাপছেন তিনি। তার সামনে উদ্বিগ্ন চেহারা নিয়ে বসে আছেন কয়েকজন লোক। ফাইলের অগ্রগতি জানতে চাইছেন তারা। কিন্তু তাদের কথায় কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। দেখে মনে হবে তিনি যেন অফিসের বড় কর্তা।
বলছিলাম চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ভূমি অফিসের ‘দালাল’ মোস্তাফিজুর রহমান পাভেলের কথা।
সীতাকুণ্ড ভূমি অফিসের প্রতিটি কক্ষের চিত্রই এমন। আলাদা আলাদা জায়গায় টেবিল-চেয়ার সাজিয়ে বসে আছেন এমন সাতজন দালাল। এরা অফিসের নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী নয়। হাজিরা খাতায়ও তাদের স্বাক্ষর করতে হয় না, তাদের বেতন-ভাতাও নেই। স্থানীয়দের কাছে তাদের পরিচয় ভূমি অফিসের অভ্যন্তরীণ দালাল হলেও সার্ভেয়ার রিপোর্ট তৈরি এবং মিস মামলার আদেশ লেখাসহ অতি স্পর্শকাতর কাজও তারা করে থাকেন। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলমের সহযোগী হিসাবেও তাদের দেখা যায়। ‘ঘুষ’ আদায়ের ছোট-বড় সব কন্ট্রাক্টও তারাই করেন।
তবে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দাবি, এরা অফিসে আউটসোর্সিং হিসেবে কাজ করেন। ডাটা এন্ট্রিসহ এসব কাজ করতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় তাদের নেওয়া হয়েছে। যদি কোনো কেলেঙ্কারিতে তারা জড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অথচ জেলা প্রশাসন বলছে, ভূমি অফিসে আউটসোর্সিং বলতে কিছুই নেই। কোনো একসময় আউটসোর্সিংয়ে লোক খাটানো হলেও এখন তা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিটি ইউএনও অফিসে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।
অভিযোগ আছে, নথি গায়েব, খতিয়ানের দাগ নম্বর কারসাজি ইত্যাদির সঙ্গেও এই দালালরা জড়িত। বেতন-ভাতাহীন অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত এসব দালালরা গ্রাহকদের পকেট কেটে রাতারাতি হয়ে গেছেন কোটিপতি। কুঁড়েঘর থেকে বানিয়েছেন সুউচ্চ বিল্ডিং। গড়ে তুলেছেন কোটি টাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারের ডিজিটাল পদ্ধতির সুফল বঞ্চিত হচ্ছেন সীতাকুণ্ডের সেবাগ্রহীতারা। এখানকার ডিজিটাল কর্মকাণ্ড যাদের হাতে, সেসব কর্মচারীদের কেউই কম্পিউটার ব্যবহার করেন না। তাদের কম্পিউটার ব্যবহার করে সরকারি সকল ডিজিটাল কাজ করছেন দালালরা। ফলে সেবাগ্রহীতারা দালালদের চাহিদা মত ঘুষ প্রদান করতে বাধ্য হচ্ছেন। টাকা না দিলে বড় কর্তার দোহাই দিয়ে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সীতাকুণ্ড উপজেলা ভূমি অফিসের পশ্চিমে অবস্থিত গোলঘরে টেবিল-চেয়ার নিয়ে বসে আছেন আজগর আলী নামের এক লোক। দালালদের মধ্যে সবচেয়ে পুরনো তিনি। নামজারি (মিউটিশন) আবেদন গ্রহণ করা তার কাজ। বিনিময়ে প্রতি নামজারি ফাইলে গ্রাহক থেকে ৩০০ টাকা করে নেন আজগর। প্রায় এক যুগ আগে সন্দ্বীপ উপজেলা থেকে বেকারত্ব ঘোচাতে সীতাকুণ্ড পাড়ি জমান তিনি। মাধ্যমিক পাস আজগরের কপালে কাজ না জুটলে স্থানীয় আশরাফ মেম্বার নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে ভূমি অফিসে কাজের সুযোগ পান। ভূমি অফিস যেন তার জন্য আলাদিনের চেরাগ। অল্প সময়েই সীতাকুণ্ডের প্রাণকেন্দ্রে একাধিক জমি কেনেন তিনি। নির্মাণ করেছেন বিলাসবহুল ভবন।
আজগরের ভাষ্য, তিনি ভূমি অফিসের কর্মচারী নন, তবে এসিল্যান্ডের নির্দেশেই তিনি টেবিল-চেয়ার নিয়ে বসেছেন এবং নামজারি আবেদন গ্রহণ করছেন। তবে তিনি নামজারির জন্য ২০০ টাকা নেন বলে জানান।
দালালদের মধ্যে সবচেয়ে ধূর্ত ও প্রভাবশালী মোস্তাফিজুর রহমান পাভেল। নামজারি আবেদন অনলাইনকরণ, খতিয়ান প্রিন্ট ও ডিসিআর প্রদানের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো তিনি সম্পাদন করেন। সেবাগ্রহীতাদের কাছে নীরব আতঙ্কের নাম এই পাভেল। অতিরিক্ত টাকা দিলে নামজারি ফাইল তাৎক্ষণিক অনলাইন করেন, অন্যথায় নানা অযুহাতে সপ্তাহের পর সপ্তাহ লেগে যায়। এছাড়া ফাইল কানুনগো থেকে আসার পর মোটা অংকের অর্থ দাবি করেন সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে। টাকা না দিলে এসিল্যান্ডের টেবিল পর্যন্ত যায় না ফাইল। এসিল্যান্ড আশরাফুল আলমের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে নামজারি প্রতি ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা আদায় করেন। টাকা পেলে গ্রাহকের সামনেই ফাইল নিয়ে এসিল্যান্ডের রুমে প্রবেশ করতে দেখা যায় তাকে।
এদিকে সরকারি সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত নাজির, যিনি নামজারি ফাইল এসিল্যান্ডের টেবিলে পৌঁছাবেন, খতিয়ান প্রিন্ট দিবেন, ডিসিআর প্রদান করবেন তিনি অসহায়ের মত বসে থাকেন পাভেলের পাশের টেবিলে। যেন পাভেলের কাছ থেকেই কাজ শিখছেন তিনি।
সীতাকুণ্ড ভূমি অফিসের সাবেক নাজির শবদের হোসেন এই পাভেলকে তার ভাগিনা পরিচয়ে নামজারি অনলাইন করার নাম দিয়ে অফিসে ঢুকিয়েছিলেন। শবদের হোসেন সীতাকুণ্ড ভূমি অফিস থেকে বিদায় নিয়েছেন কিন্তু বছর ঘুরতেই পাভেল এখন নাজিরের সমকক্ষ হয়ে বসে আছেন। প্রতিদিন অসংখ্যবার এসিল্যান্ড আশরাফুল আলমের কক্ষে ফাইল হাতে ঢুকতে বের হতে দেখা যায় পাভেলকে। এমনকি বিভিন্ন সময় শুনানিতে মিস মামলা সংক্রান্ত ফাইলও তাকে উপস্থাপন করতে দেখা যায়। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ঢাকায় কন্ট্রাক্ট করে অনলাইনে সৃজিত নামজারি খতিয়ানের দাগ, মালিকানা ও হিস্যার পরিবর্তনও করেন এই পাভেল।
কর্মচারী না হয়েও কিভাবে এসব কাজ করছেন—পাভেলকে এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।
সেবাগ্রহীতাদের আতঙ্ক মো. মহসিন নামের আরেক দালাল। তাকে ম্যানেজ না করে কোনো নামজারির তদন্ত রিপোর্ট পাস করানো সম্ভব নয়। ভূমি অফিসের অভ্যন্তরের গোলঘরের পশ্চিম পাশের রুমে বড় টেবিল-চেয়ার, কম্পিউটার-প্রিন্টার ও স্টিলের দুই আলমিরা নিয়ে বসেন তিনি। পাশেই একটি টেবিল নিয়ে বসেন সার্ভেয়ার অহিদুর রহমান। কানে একটু কম শোনেন সার্ভেয়ার অহিদ। এ অজুহাতে সার্ভের জন্য আসা সকল ফাইলের কন্ট্রাক্ট করেন দালাল মহসিন।
সরেজমিনে সার্ভে করলে প্রাইভেট গাড়ি, ভাড়া ও নাস্তা বাবদ নেন মোটা অংকের টাকা। আবার সরেজমিনে না গেলে টাকার অংক আরও বাড়িয়ে রিপোর্ট দেন। অন্যথায় ফাইল পড়ে থাকে ‘গভীর কোমায়’।
অফিস কর্মচারী নন বলে স্বীকার করলেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে মহসিন বলেন, ‘মাঝেমধ্যে সেবাগ্রহীতারা কাজে খুশি হয়ে বকশিস দেন।’
এসিল্যান্ড আশরাফুল আলমেরও খুব পছন্দের ব্যক্তি মহসিন। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায়ও এসিল্যান্ডের সহযোগী হিসেবে দেখা যায় তাকে।
দালালদের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তি ফারুক। তিনি টাকা কামান মোটা দাগে, চুপিসারে। বসেন ভূমি অফিসের দোতলায় স্পর্শকাতর রেকর্ডরুমে, যেখানে ভূমি মালিকদের নথিপত্র সংরক্ষিত রাখা হয়। শিল্প কারখানাভিত্তিক তার কাজ। বিশেষ করে একশ্রেণির শিল্পমালিকদের অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। গত কয়েক বছরে তথ্য গোপন করে সরকারি বহু খাস জমি নামজারি করা হয়েছে। এসব জমি নামজারি কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে ফারুকের বিরুদ্ধে। আবার ভ্রাম্যমাণ আদালতে এসিল্যান্ডের সহযোগী হওয়ার সৌভাগ্য আছে তারও।
কয়েক বছর আগে নিঃস্ব অবস্থায় এ ভূমি অফিসে কাজ নিয়েছিলেন দিনমজুর পিতার সন্তান ফারুক। অল্প সময়ের ব্যবধানে সীতাকুণ্ড বাজারের মতো ব্যয়বহুল স্থানে ওয়েল ফুডের শোরুমসহ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে তার। বিলাসবহুল দ্বিতল বাড়িও করেছেন তিনি। পাড়াগাঁয়ে এমন রাজসিক দালান দেখতে ভিড় জমান স্থানীয়রা।
এসব বিষয়ে জানতে ফারুকের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ করেননি তিনি।
এছাড়া সেই স্পর্শকাতর রেকর্ডরুমে বসেন আরও দুজন দালাল। এদের একজন মো. জুয়েল, অন্যজন সালাউদ্দিন। দু’জনই এসেছেন সন্দ্বীপ থেকে। জুয়েল ভাটিয়ারী তহসিলের নামজারি ফাইল দেখেন, কাজ করেন অফিস সহকারী নিজাম উদ্দিনের অধীনে। তহসিল থেকে নামজারি প্রস্তাবে পাস হয়ে ফাইল আসে নিজাম উদ্দিনের টেবিলে। জুয়েলকে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করতে পারলে খুশি হন নিজাম উদ্দিনও। এরপর ফাইল চলে যায় এসিল্যান্ডের টেবিলে। নয়তো টেবিলে পড়ে থাকে মাসের পর মাস।
তবে জুয়েল জানান, এসিল্যান্ডের নির্দেশে তিনি টেবিল-চেয়ার নিয়ে নিজাম উদ্দিনের সহকারী হয়ে কাজ করছেন।
অন্যদিকে সালাউদ্দিন কাজ করেন কুমিরা তহসিল নিয়ে। অফিস সহকারী মো. হাবিবের অধীনে কাজ করেন তিনি। জুয়েলের মতই টাকা ছাড়া ফাইল ছাড়েন না সালাউদ্দিন। নানান ছুতোয় ফাইল পড়ে থাকে তার টেবিলে। ঘুষ পেলে তবেই ফাইল ছাড়েন। এরপর ফাইল যায় এসিল্যান্ডের টেবিলে।
কিভাবে ভূমি অফিসে টেবিল-চেয়ার নিয়ে বসেছেন—এ প্রশ্ন করা হলে কোনো উত্তর না দিয়েই মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন সালাউদ্দিন।
এই সাত দালালে সর্বশেষ নামের তালিকায় আছেন কবির হোসেন। নাইটগার্ড পরিচয়ে সীতাকুণ্ড ভূমি অফিসে এসেছেন তিনি। কিন্তু এখন অন্য দালালদের মত টেবিল-চেয়ার ও কম্পিউটার-প্রিন্টার নিয়ে বসেন অফিসে। ভূমি অফিসের সংরক্ষিত রেকর্ডরুমেই রাতযাপন করেন তিনি, পেতেছেন খাট-পালংও।
এসিল্যান্ডের সিল ও স্বাক্ষর সম্বলিত খতিয়ানের সইমুরী সরবরাহের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন তিনি। গভীর রাত পর্যন্ত সেই ফারুকসহ রেকর্ডরুমে বসে কাজ করেন তিনি। একইসঙ্গে এসিল্যান্ডের বাজার-সদাই থেকে ব্যক্তিগত কাজও কবিরকে করতে দেখা যায়।
সইমুহূরি খতিয়ান সরবরাহ কথা স্বীকার করলেও টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন কবির হোসেন।
জানা গেছে, সীতাকুণ্ড ভূমি অফিস থেকে প্রায়ই নথি গায়েব ও খতিয়ান কারসাজির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি এ অফিস থেকে জাতিসংঘ নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মাশফিক আহমেদ চৌধুরীর মিস মামলা সংক্রান্ত নথি গায়েবের অভিযোগ ভূমি মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়িয়েছে।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড ভূমি অফিসের একজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘বাইরের এতো লোক রেকর্ডরুমে থাকলে নথি বা খতিয়ান যথাযথভাবে সংরক্ষণ সম্ভব নয়।’
যোগাযোগ করা হলে প্রথমে সীতাকুণ্ড ভূমি অফিসের সাত দালালদের আনাগোনার বিষয়টি মানতে নারাজ ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম। তবে প্রতিবেদকের কাছে তথ্য-প্রমাণ থাকার কথা শুনে সুর পাল্টান তিনি। তিনি বলেন, ‘ওরা দালাল নয়। আমার অফিসের স্টাফ না হলেও ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছেন তারা। এজন্য ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
দালালদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের এসব করা তো ঠিক না। তবে এরকম যদি হয়ে থাকে এবং কোনো ভুক্তভোগী যদি অভিযোগ করেন তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
দালাল থাকার কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সীতাকুণ্ড ভূমি অফিসের অভ্যন্তরে দালাল থাকার বিষয়টি আমরা জানি। ওদের কারণে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। শীঘ্রই ওদেরকে বের করে দেওয়া হবে।’
এদিকে এসিল্যান্ডের বক্তব্যের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়নি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসানের বক্তব্যের। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো ভূমি অফিসে আউটসোর্সিংয়ের লোক কাজ করে না। সব এসিল্যান্ডকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি, কোনো আউটসোর্সিংয়ের লোক না রাখতে। সীতাকুণ্ডে যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এনইউএস/সিপি