পটিয়ার নতুন মেয়র আওয়ামী লীগের আইয়ুব বাবুল

দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আইয়ুব বাবুল। তিনি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোট পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৩৬টি। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নুরুল ইসলাম সওদাগর ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৪৯৪ ভোট।

এছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামসুল আলম মাস্টার লাঙল প্রতীকে দুপুরে ভোট বর্জন করলেও তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ১১৭ ভোট এবং ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী আলী হোসাইন মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৫৬ ভোট।

রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে পটিয়া পৌরসভার ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকাল চারটা পর্যন্ত। পৌরসভা নির্বাচনে ৪জন মেয়রসহ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪৬ জন। পৌরসভার মোট ভোটার ছিল ৩৯ হাজার ৭৮৭ জন।

রবিবার রাত আটটার দিকে উপজেলা হল রুমে অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মো. তারিফুজ্জামান ও উপজেলা নির্বাচন কমিশনার আরাফাত আল হোসাইনী পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। এবারের পৌরসভা নির্বাচনে ৪৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিকে সাধারন ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন- ১নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ নাছির, ২নং ওয়ার্ডে রুপক কুমার সেন, ৩নং ওয়ার্ডে গিয়াস উদ্দিন আজাদ, ৪নং ওয়ার্ডে গোফরান রানা, ৫নং ওয়ার্ডে জসিম উদ্দিন (বিনাপ্রতিদন্দ্বিতায়), ৬নং ওয়ার্ডে শফিউল আলম, ৭নং ওয়ার্ডে কামাল উদ্দিন বেলাল, ৮নং ওয়ার্ডে সরওয়ার কামাল রাজিব ও ৯নং ওয়ার্ডে শেখ সাইফুল ইসলাম।

সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন (১,২,৩) বুলবুল আকতার, (৪,৫,৬) ইয়াছমিন আকতার চৌধুরী এবং (৭,৮,৯) ফেরদৌস বেগম।

সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায়ও ছিলো। কিন্তু ভোট শুরু হতেই বিভিন্ন কেন্দ্রে শুরু হয় সংঘর্ষ। একাধিক কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত হন। এছাড়া আরেকটি কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থীকে অজ্ঞাত পরিচয় লোকজন তুলে নিয়ে যায়।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!