চট্টগ্রামে আসার আগেই ঢাকার পুলিশ চাঁদাবাজির দায়ে গ্রেপ্তার

ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি

এর আগেও পুলিশের কাছে মাদক নিয়ে ধরা পড়েছিলেন কনস্টেবল রমজান আলী। এর জের ধরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দীর্ঘদিন পর সেটা কাটিয়ে তার নতুন পোস্টিং হয়েছিল চট্টগ্রামে। নতুন এই কর্মস্থলে আসার জন্য ছুটিতে থাকা অবস্থাতেই জড়িয়ে পড়েন নতুন অপরাধে। বুধবার (১১ আগস্ট) রাতে ঢাকার ধামরাইয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ফ্রিজ বোঝাই একটি ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে তাকেসহ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই পুলিশ সদস্য হলেন— মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার বামনা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল রমজান আলী ও ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের আমছিমুর নয়াপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে মো. সোহেল রানা। অপরজন তাদের সহকারী বালিয়া ইউনিয়নের হরিদাসপুর গ্রামের সোহেল রানা।

জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাতে গাজীপুরের চন্দ্রাস্থ একটি কোম্পানি থেকে ২৫টি ফ্রিজ নিয়ে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হন ট্রাকচালক আনোয়ার হোসেন। রাত আড়াইটার দিকে ধামরাইয়ের ইসলামপুর এলাকার বাটার গেটের সামনে পৌঁছলে পুলিশ কনস্টেবল রমজান ও সোহেল রানা ট্রাক থামানোর জন্য সিগন্যাল দেন।

ভুক্তভোগী ওই চালক বলেন, পুলিশের সিগন্যাল দেখে আমি গাড়িটি ওখানে থামাই। গাড়ি থামানোর সাথে সাথে আমাকে ট্রাক থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তখন আমি তাদের বলি, আমার কাছে তো এত টাকা নেই। এই কথা শুনে রমজান আমাকে মারতে মারতে রাস্তার ওপর ফেলে দেয়।

ট্রাক ড্রাইভার আনোয়ার আরও বলেন, এ সময় আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন দৌড়ে আসে। সেই সঙ্গে ইসলামপুরে টহলরত পুলিশ এসে আমাকে ও আমার হেলপারকে উদ্ধার করে। পুলিশ কনস্টেবল রমজান ও সোহেলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সোহেল রানা নামে তাদের এক সহকারীকেও নিয়ে যায়। পরে এই ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করি।

জানা যায়, পুলিশ কনস্টেবল রমজানের পোস্টিং হয়েছিল চট্টগ্রামে। পুলিশের দাবি, রমজান এর আগেও পুলিশের কাছে মাদক নিয়ে ধরা পড়েছিলেন। ওই ঘটনায় তিনি দীর্ঘদিন সাসপেন্ড ছিলেন। নতুন করে পোস্টিং হওয়ায় কর্মস্থলে যাওয়ার আগেই তিনি আবার অপরাধের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!