উচ্চশিক্ষার জন্য নরওয়ে যাচ্ছে চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সঙ্গে নরওয়ের এগডার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলমান পাঁচ বছর মেয়াদি কেয়ার প্রকল্পের আওতায় ২০২২ সাল থেকে পূর্ণ শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে শিক্ষার্থীরা নরওয়েতে গিয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার চতুর্থ ধাপে উচ্চশিক্ষা অর্জনে নরওয়ের এগডার বিশ্ববিদ্যালয় যাচ্ছেন ৮ জন শিক্ষার্থী।

চুয়েটের ‘কেয়ার’ প্রকল্পের আওতায় পূর্ণ শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে ২ বছরের মাস্টার্স প্রোগ্রাম এর জন্য ৩ জন। তারা হলেন রাকিব বিন নাসির, প্রমিত পাল, আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ জোবায়ের। ৫ মাসের মাস্টার্স থিসিস প্রোগ্রাম এর জন্য ৫ জন শিক্ষার্থী আগামী আগস্ট মাসে নরওয়ে যাবেন। এরা হলেন আদিত্য চৌধুরী জয়, মো. ইয়াসির ভুইয়া, মো. আমিরুল মোমিনিন, আহমেদ আব্দুল্লাহ মুজাহিদ, শীতল রায়।

বৃহস্পতিবার ১৬ মে সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভাবনের সিন্ডিকেট কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সাথে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

সভা সঞ্চালনা করেন কেয়ার প্রকল্পের পরিচালক ও সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম।

এবছর নির্বাচিত হওয়া শিক্ষার্থী আদিত্য চৌধুরী জয় বলেন, নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাগডারে মাস্টার্স এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়েছি বলে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। নরওয়ের এগডারের সঙ্গে চুয়েটের কেয়ার প্রকল্পটি নবায়নযোগ্য শক্তিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করবে। এই সকল বিষয় বিশেষজ্ঞ ও প্রফেসরদের কাছ থেকে শেখার সু্যোগ করে দেওয়ার জন্য আমি চুয়েট কতৃপক্ষের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং চুয়েটে কেয়ার প্রকল্পের পরিচালক ও সমন্বয়ক ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম বলেন, বর্তমানে কেবল যন্ত্রকৌশল বিভাগ, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট অব এনার্জি টেকনোলজিতে অধ্যয়নরত পিএইচডি/মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষার্থীরাই এই প্রকল্পের আওতায় আবেদন করতে পারে। তবে খুব শীঘ্রই আরো কিছু বিভাগে এর পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। আশা করি সে প্রচেষ্টা সফল হবে।

চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, যারা পড়াশোনা শেষ করে ফিরেছে, তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। আর যারা নতুন যাচ্ছে, তাদের জন্য রইলো শুভকামনা। আশা করছি, নতুনরা তাদের গবেষণা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের দেশের নাম উজ্জ্বল করবে। এই প্রকল্পটিকে আরো দীর্ঘমেয়াদি করা এবং তার পরিধি বৃদ্ধির জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!