আনোয়ার হোসেন ফরিদ, ফটিকছড়ি : এশিয়ার একমাত্র মিঠা পানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলী জমি, বসতভিটা, স্কুল-মাদরাসা। এতে করে হালদা নদী ক্রমশ: নিজের রুপ, ঐতিহ্য ও ¯্রােতধারা হারাচ্ছে। হুমকীর সম্মুখীন হয়ে পড়েছে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র এবং হালদার ওপর নির্মিত ৬ সেতু। নদীতে বালু উত্তোলনের কাজে ইঞ্জিন চালিত নৌযান ব্যবহৃত হচ্ছে । অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকা চলাচলের ওপর রয়েছে বিধি-নিষেধ। প্রশাসনের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে কতিপয় ব্যক্তিরা হালদা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে করে ঐতিহ্যবাহী হালদা নদী নানামুখী সংকটের দিকে পতিত হচ্ছে। বালি উত্তোলন বন্ধ করে হালদা নদীর ভাঙ্গন রোধ করতে চাই নদীর পাড়ের মানুষগুলো। প্রশাসন ও স্থানীয় এমপির সহযোগিতা কামনা করেন তারা। সম্প্রতি ফটিকছড়ি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও ১৪ দলীয় জোট নেতা সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায়, সাবেক ছাত্রনেতা এইচএম আবু তৈয়বসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা নাজিরহাট কলেজের উত্তর পাশে হালদা নদীর ভাঙ্গন পরির্দশন করেন। এসময় তিনি বলেন, নাজিরহাট পুরাতন ব্রিজ থেকে উত্তর দিকে বেড়িবাধ ও নদী শাসনের জন্য ৩ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।