ফটিকছড়ির দেড়শ পরিবার পানি বন্দি

ফটিকছড়ির দেড়শ পরিবার পানি বন্দি 1আনোয়ার হোসেন ফরিদ, ফটিকছড়ি : বর্ষা নই, তবুও পানিবন্দি অসংখ্য মানুষ। ধুরুং খালে বাঁধ দিয়ে ব্রিজের কাজ ধরাই এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন উপজেলা রোসাংগিরী ইউপির ১নং ওয়ার্ড়ের একাংশের বাসিন্দারা। ওই ওয়ার্ড়ের এনামুল হক সওদাগরের বাড়ির দেড়শ পরিবারের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। খালে বাঁধ থাকার কারণে উজান থেকে আসা বোরে চাষের পানি নিচের দিকে নামতে না পেরে পানি বাড়তে থাকে ফলে প্লাবিত হয় ওই এলাকা। গত বৃহস্পতিবার সকাল হতে পানিবন্দি হয়েছেন ওই এলাকার মানুষ। পানিতে বাড়ির প্রধান সড়ক, অলিগলি, বাড়ির উঠানের ১ফুট উপর দিয়ে পানি চলাচল করছে। ঘরের চুলায় পানি ডুকায় ওই এলাকার অনেক পরিবারকে শুষ্ক খাবার খেয়ে জীবণ ধারণ করতে হচ্ছে। কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জানাগেছে, মাইজভান্ডার সড়কের ধুরুংকুল রহমানীয়া বাজারে ধুরুং ব্রিজের কাজ চলমান অবস্থায় রয়েছে। কাজ প্রায় শেষের দিকে। কাজ পাওয়া ঠিকাদার সংশ্লিষ্টরা কাজ করার আগে বিকল্প সড়কের উপর ব্রিজ না করে খাল ভরাট করে রাস্তা সচল করেন। বর্তমান উজান থেকে কৃষকের বোরে চাষের জন্য পানি ছাড়াই ধুরুং খাল পানিতে ভরপুর হয়ে পড়ে। খালের উপর বাঁধ থাকায় পানি নিচের দিকে নামতে না পেরে পানি বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে পানি খাল ভর্তি হয়ে ওই এলাকা প্লাবিত হয়।
গতকাল সরেজমিনে দেখাযায়, বার্ষায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলের মত ওই এলাকার বাড়ি ঘরের অলিগলিতে পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে। ঘরের উঠানে হাটু পর্যন্ত পানি জমেছে। পানিতে বিভিন্ন আবর্জনা ভাসতে দেখা যায়। পানিতে নানান আবর্জনা ভাসতে দেখা যায়। খালের পশ্চিম পাড়ের নুরুল্লাহ মুন্সি বাড়ি সড়কের কানায় কানায় পানি অতিক্রম করছে।
এলাকাবাসীরা জানান, অতি লোভী ঠিকাদারের ভুলের মাসুল দিচ্ছেন শতশত পরিবারের মানুষ। ঠিকাধারকে বারবার ফোন করে জানানোর পরও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসীরা।
স্থানীয় মেম্বার মুহাম্মদ আজম জানান, ভোর হতে পানি সরানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি। চুলায় পানি থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষরা শুস্ক খাবার খেয়ে জীবণ ধারণ করছেন। তিনি রাস্তার উপর ছোট ড্রেন করে পানি নামানোর ব্যবস্থা করছেন বলে জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে রোসাংগিরী ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম.মোয়েব আল সালেহীন জানান, তিনি ওই এলাকা পরিদর্শণ করেছেন। স্থানীয় মেম্বারকে স্থানীয়দের নিয়ে কাজ করতে বলেছেন। প্রশাসন এবং ওই ঠিাকদারকে ব্যাপারটি জানিয়েছেন। যে ভাবে হোক পানি নিচের দিকে নামানোর ব্যবস্থা করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!