প্রতিদিন রিপোর্ট ::
বিশ্ব র্পযটন দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠতি হলো বর্ণাঢ্য র্যালি।
সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি নগরীর সার্কিট হাউস থেকে শুরু হয়ে কাজিড় দেউড়ি লালখান বাজার হয়ে আবার সার্কিট হাউসে এসে শেষ হয়।
এতে জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল সহ প্রশাসনের র্উধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। এসময় জেলা প্রশাসক জানান, চট্টগ্রামকে বন্দর নগরীর পাশাপাশি পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট রয়েছে সরকার।
অন্যদিকে বিশ্ব পর্যটন দিবস এবং সরকার ঘোষিত পর্যটন বর্ষের এবারের প্রতিপাদ্য ‘সকলের জন্য পর্যটন : সার্বজনীন পর্যটনের অভিগম্যতা’ এই উপলক্ষে ওয়েল পার্ক রেসিডেন্স আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকালে র্যালী সহকারে জেলা প্রশাসকের নির্ধারিত র্যালিতে অংশগ্রহণ। র্যালী শেষে ওয়েল পার্ক রেসিডেন্সের ৯ম তলায় সোনার বাংলা হল রুমে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওয়েল পার্কের জেনারেল ম্যানেজার এম.এ মনছুর বলেন, পর্যটনের মাধ্যমে মানুষে মানুষে সম্প্রীতির মেলবন্ধন রচিত এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বিকশিত হয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বাংলাদেশে রয়েছে পর্যটনশিল্প বিকাশের অপার সম্ভাবনা। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পর্যটন স্পটগুলো চিহ্নিতকরণ এবং পর্যটন স্পটগুলোর আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ করা হলে বিদেশি পর্যটকের পাশাপাশি দেশীয় পর্যটকের সংখ্যাও বাড়বে। এর ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং পর্যটন খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি অন্যতম বড় খাতে পরিণত হবে।
পর্যটন শিল্পের হাত ধরেই বদলে যেতে পারে দেশের অর্থনীতি। কিন্তু পর্যটন শিল্পের এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না যথাযথ উদ্যোগের অভাবে। কাউসার জান্নাতের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন রানা মজুমদার, মামুন আল রশিদ, সাখাওয়াত হোসেন, সেতু বড়–য়া, রিজুয়ানুল হক, আবু নাছের রিপন, মোশাররফ হোসেন, খোরশেদ আলম, আবদুল মাবুদ, জিয়া উদ্দিন, মো. মুরাদ প্রমুখ।
রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::