চট্টগ্রামে এবার নেপাল সেলস মিশন

পর্যটন সম্পর্ক সুদৃঢ় করার আহবান

সারা বিশ্ব থেকে দুই মিলিয়ন পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে টুরিজম বোর্ড অব নেপালের উদ্যোগে চট্টগ্রামে নেপাল সেলস মিশন বাণিজ্যবিষয়ক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে আগ্রাবাদের একটি হোটেলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। নেপাল দূতাবাস এবং নেপাল টুরিজম বোর্ড যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।

এতে নেপালের নয়টি পর্যটন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন প্রতিষ্ঠান ও ট্রাভেল এজেন্সি অংশ নেয়।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব দিল্লি প্রসাদ আচার্য, নেপাল টুরিজম বোর্ডের ব্যবস্থাপক গোবিন্দ আলী, বাংলাদেশের ট্রাভেল এজেন্টদের সংগঠন আটাব চট্টগ্রামের সভাপতি আবু জাফর।

nepal-tourism-sales-mission

নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব দিল্লি প্রসাদ আচার্য বলেন, এ ধরনের ক্যাম্পেইন কর্মসূচি করতে বাংলাদেশ এর আগেও আমরা এসেছি। আমরা মনে করি, নেপালের পর্যটন শিল্পের জন্য বাংলাদেশ একটি পোটেনশিয়াল (সম্ভাব্য উপযুক্ত) দেশ। আমরা চাই বাংলাদেশের সাথে একটি বিজনেস নেটওয়ার্ক তৈরি হোক। সেজন্য নেপালের ট্যুরিজম সেক্টরের প্রসারে বাংলাদেশকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছি।

নেপাল টুরিজম বোর্ডের ব্যবস্থাপক গোবিন্দ আলী বলেন, নেপালের পর্যটন শিল্পের জন্য বাংলাদেশ সম্ভাব্য উপযুক্ত জোন। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পর্যটক নেপাল ভ্রমণে যান। আমরা চাই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক একটি সম্পর্ক তৈরি করতে।

তিনি বলেন, ‘ভিজিট নেপাল ২০২০ লাইফটাইম এক্সপিরিয়েন্স’ নামে একটি ক্যাম্পেইন চলছে বিশ্বব্যাপী। এই ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য হচ্ছে আগামী বছর দুই মিলিয়ন পর্যটক যাতে নেপাল ভ্রমণ করে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশে আমাদের প্রত্যাশা বেশি। বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের টুরিজম নেটওয়ার্ক তৈরি করতে ঢাকার পাশাপাশি অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও এ ধরনের সভার আয়োজন করা হচ্ছে।

আটাব চট্টগ্রামের সভাপতি আবু জাফর বলেন, সম্প্রতি নেপালে ইউএস বাংলার একটি বিমান দুর্ঘটনার কারণে নেপাল ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ঢাকা থেকে বাংলাদেশে বিমানের পাশাপাশি কিছু বেসরকারি বিমান নেপালে ফ্লাইট পরিচালনা করলেও নেপালের এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করছে না। দুটি দেশের এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করলে পর্যটন খাত আরো সম্প্রসারিত হবে। বাংলাদেশের পর্যটকরা নেপালে ভ্রমণ করার পাশাপাশি সেদেশের পর্যটকরাও যাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যাতে ভ্রমণ করে সে ব্যপারে নজর দেওয়ার জন্য নেপাল টুরিজম বোর্ডের প্রতি আহবান জানান আটাব সভাপতি।

নেপালের বিভিন্ন পর্যটন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বক্তব্য দেন দীপস ট্যুরস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিপক পৌডেল, নেপাল হলিডে মেকার টুরস এন্ড ট্রাভেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিপক কৈরালা, বাবা এডভেঞ্জারের ম্যানেজার মিলন, ল্যান্ডমার্ক হোটেলের ম্যানেজার দিনেশ গিমেরী।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!