মোবাইল ফোন টাওয়ারের রেডিয়েশনের বিষয়ে জানাতে চার মাস সময়

মোবাইল ফোন টাওয়ারের বিকিরণের ক্ষতিকর প্রভাব নিরূপণে চার মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। মানুষ ও পরিবেশের উপর রেডিয়েশনের প্রভাবের মাত্রা কতটুকু সে বিষয়ে সমীক্ষা চালাতে বিটিআরসিকে এ নির্দেশনা দেন আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফায়েত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ নির্দেশনা দেন।

আদালত আরও বলেছেন, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, হেরিটেজ স্থানসহ জনজীবনে মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণের মাত্রার বিষয়টি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রতিবেদনে থাকতে হবে।

সাত বছর আগে ২০১২ সালে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে আইনজীবী মনজুর মোরশেদের এক রিটের প্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশনা দেন। রিটে মোবাইল ফোন টাওয়ারের বিকিরণ বন্ধে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। এরপর কয়েক দফা শুনানি ও আদেশ দেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বিচারকগণ বলেন, বিটিআরসির প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তারা কমিশনের আগের প্রণয়ন করা এ সংক্রান্ত গাইডলাইন স্থগিত রাখতেও নির্দেশ দিয়েছে।

মোবাইল ফোন টাওয়ার মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রেডিয়েশন ছড়াচ্ছে একুশে টিভিতে প্রচারিত এমন এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এইচআরপিবি জনস্বার্থে এ রিট করেছিল। এরপর আদালত রেডিয়েশনের মাত্রা পরীক্ষা করে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর প্রভাবের বিষয়ে দুটি আলাদা প্রতিবেদন দিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এ বিষয় প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দেয়। বিটিআরসিও এ বিষয়ে একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করে।

বর্তমানে দেশে পাঁচটি মোবাইল ফোন অপারেটরের ৩৫ হাজার টাওয়ার রয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!