তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই রাঙামাটির তিন উপজেলায়

৭২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই রাঙামাটির বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলায়।

এ তিন উপজেলায় বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী গ্রাহক রয়েছেন প্রায় তিন হাজার। বিদ্যুৎ না থাকায় ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখায় অসুবিধা হচ্ছে। ফ্রিজে রাখা মাছ মাংস, সবজি ও ফল নষ্ট হয়ে অনেক গ্রাহক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা ও বিলাইছড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুনির্মল দেওয়ান জানান, তাদের উপজেলায় তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

বরকল উপজেলা বিদ্যুৎ গ্রাহক উন্নয়ন সমিতির আহবায়ক মো. আবু বক্কর ও বড় হরিনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিলাময় চাকমা জানান, বরকল ও জুরাছড়িতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের লাইনম্যান থাকলেও বিলাইছড়িতে এখনো পর্যন্ত কোন লাইন ম্যান নিয়োগ দেয়নি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। বিলাইছড়ি থেকে ফিউজ কেটে গেলে সেটি ঠিক করা না হলে জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টি হলেই এ তিন উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এছাড়াও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায় সময় তিনটি ফিউজের মধ্যে শুধু একটি ফিউজেই বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যায়। এছাড়াও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে গ্রাহকরা।

এ ব্যাপারে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী মজিবুর রহমান মজিদ জানান, কাপ্তাই লিচুবাগান ও চন্দ্রঘোনা এলাকায় ৩৩ কেভি লাইনটির যান্ত্রিক ক্রটি হওয়ায় তিন উপজেলায় আপাতত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার তিন উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, কাপ্তাইয়ের ৩৩ কেভি লাইনটি নষ্ট হয়ে গেছে। সেটি ঠিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কাজ শেষে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (পিডিবি) যথেষ্ট জনবল না থাকায় এ সমস্যা হয় বলে জানান তিনি।

আরএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!