রাঙামাটি রাজস্থলীতে ৭ জন নিহতের ঘটনাটি গুজব!

রাঙামাটির রাজস্থলীতে ‘দুই সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় ৭ জন নিহত’ হওয়ার ঘটনার অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাঙামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবির বলেন ‘ ৭ জন খুন অনেক বড় ঘটনা। ঘটনাস্থলে রক্ত, গুলির খোসা কিংবা হতাহতের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি পুলিশ’। প্রশাসনও মনে করছে বিষয়টি গুজব।

বুধবার সকালের দিকে উপজেলার গাইন্দ্যা ইউনিয়নের তাইতংপাড়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে শোনা গেছে। একাধিক অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় পরস্পরবিরোধী দুই পাহাড়ি সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। দুপুর হতেই একাধিক টেলিভিশন ও পত্রিকায় গুরুত্ব দিয়ে ৭ জন নিহতের সংবাদ প্রকাশ হতে শুরু করে। মুহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের মধ্যে নতুন করে আতংক দেখা দেয়। শহরেও সীমিত হয়ে পড়ে পাহাড়ি লোকজনের চলাফেরা।

বিকেল সাড়ে চারটায় এই প্রতিবেদক মুঠোফোনে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার আলমগীর কবির বলেন, ‘কোথায় ৭জন মারা গেছে? আমিতো জানিনা’। একাধিক টেলিভিশন ও পত্রিকায় ব্রেকিং নিউজ দেখাচ্ছে মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, ‘ওদেরকে জিজ্ঞেস করেন। পুলিশ অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অথবা আমরা কোন কিছু জানিনা। কারণ এধরণের কোন কিছুর অস্তিত্ব আমরা পাই নাই। ঘটনাতো ঘটলে কিছু প্রমাণ লাগে, তাই না? এটা অনেক বড় ঘটনা। লাশ অথবা রক্তের দাগ, গুলির খোসা কোন কিছুর অস্তিত্ব পাওয়া যায় নাই। অতএব আমরা বলতে পারি এধরণে ঘটনা ঘটলে কিছুনা কিছু পাওয়া যেতো। তাই ঘটেছে বলে বলতে পারছিনা। ঘটনাস্থলে রাজস্থলী থানার ওসি আছেন। তিনি কিছুই পাননি’।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদও, ‘ঘটনাটির কোনো সত্যতা নেই’ বলে জানিয়েছেন ।
ঘটনার বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শেখ সাদেক বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে আমার কাছে বিস্তারিত কিছুই জানা নেই। স্থানীয় লোকজনের কাছে গোলাগুলির খবর শোনা গেলেও, ঘটনার সত্যতা নেই। কাজেই এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। তা ছাড়া শুনেছি, ঘটনাস্থল গিয়ে ঘটনার অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি রাজস্থলী থানা পুলিশ’।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!