বিলাইছড়িতে বৈসাবী উৎসবের অংশ হিসেবে বয়োবৃদ্ধদের স্নান করানো হয়। শনিবার (১৩ এপ্রিল) উপজেলার ধুপ্যাচর গ্রামের যুবক-যুবতীদের উদ্যোগে গ্রামের বয়োবৃদ্ধদের গোসল করানোর মাধ্যমে দ্বিতীয় দিনের বৈসাবি উৎসব পালিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সম্প্রদায়গুলোর বর্ষবরণ উৎসবকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে। চাকমাদের ভাষায় বিজু, মারমাদের ভাষায় সাংগ্রাই, ত্রিপুরাদের ভাষায় বৈসুক এবং তঞ্চঙ্গ্যাদের ভাষায় বিষু বলা হয়। এবং সবগুলোর আদ্যক্ষর নিয়ে বৈসাবি বলা হয়। বৈসাবিতে সম্প্রদায়গুলো পূণ্য লাভের আশায় এ ধরনের ভালো কাজ করে থাকে। যাতে নতুন বছর সুখে শান্তিতে থাকা যায়। গ্রামের বয়স্কদের নিজ হাতে গোসল করানোর কাজও অনেক পুরোনো সংস্কৃতির অংশ। তবে বর্তমানে এ ধরনের সংস্কৃতি অনেকটাই হারিয়ে গেছে।
ধুপ্যাচর গ্রামের যুবক-যুবতীরা জানান, গ্রামের সকল বয়স্কদের গোসল করানোর সংস্কৃতিকে তারা লালন করতে চান।
প্রসংগত, চাকমা সম্প্রদায় বাংলা বছরের শেষের দুইদিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ মোট তিনদিন বিজু পালন করে থাকে। বছরের শেষ দুইদিনের প্রথমদিন শুরুতে ফুল বিজু,পরে মূল বিজু এবং নতুন বছরকে গজ্যে পজ্যে বলা হয়।