ইউপিডিএফের কাজ?/ বাঘাইছড়ির জঙ্গলে নিয়ে মালবাহী ট্রাকে আগুন দিল সন্ত্রাসীরা

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে মালবাহী ট্রাকে আগুন দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার (১০ জুন) ভোর ৬টার দিকে বাঘাইছড়ি-দীঘিনালা সড়কের রাবার বাগান নামক স্থানে অস্ত্রের মুখে মালবাহী একটি ট্রাক থামিয়ে চালক ও হেলপারকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে গাড়িটি পাশের জঙ্গলে ঢুকিয়ে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

ভস্মীভূত ট্রাকের হেলপার জানান, এ সময় চার সন্ত্রাসীর হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। গাড়িতে ১০ লাখ টাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বহন করা হচ্ছিল। ট্রাকসহ এতে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানা যায়।

bagahichari-updf
বাঘাইছড়ি-দীঘিনালা সড়কের পাশের জঙ্গলে ঢুকিয়ে ট্রাকটি পুড়িয়ে ফেলা হয়

ঘটনার পরপরই বাঘাইহাট জোনের সেনাসদস্য ও হাজাছড়া ৫৪ বিজিবির টহল দল ঘটনাস্থলে এসে চালক ও হেলপারকে উদ্ধার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ট্রাকমালিক বাঘাইছড়ি পৌরসভার সাবেক কমিশনার আলী হোসেন বলেন, ‘আমার গাড়িতে পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা আগুন দিয়েছে। আগুন দেওয়ার আগে শুকনাছড়া নামক জায়গায় এক হাজার টাকা চাঁদাও নেয় তারা।’

তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি এটাই আমার বড় অপরাধ। এজন্য ইউপিডিএফ আমার গাড়িতে আগুন দিয়েছে। নইলে দুটি গাড়ি যেখানে একসঙ্গে আসছিল, তার একটি ছেড়ে দিয়ে আমার গাড়িতে কেন আগুন দেবে?’

bagahichari-updf
বাঘাইছড়ি-দীঘিনালা সড়কের পাশের জঙ্গলে ঢুকিয়ে ট্রাকটি পুড়িয়ে ফেলা হয়
বাজারের ব্যবসায়ী ও মালামাল পরিবহন মাঝি সাহাব উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিল ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা। কিন্তু সময়মতো চাঁদা না দেওয়ায় রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়সহ নানাভাবে হয়রানি করছে সন্ত্রাসীরা। কিছুদিন আগেও তারা ঢিল ছুঁড়ে একটি গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে দেয়।

এদিয় ঘটনার পর সীমানা জটিলতায় নানা বিভ্রান্তিমূলক অবস্থান নিয়েছে বাঘাইছড়ি ও সাজেক থানার পুলিশ। বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএ মঞ্জুর বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা একটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। ঘটনাস্থল সাজেক থানায় হওয়ায় সাজেক থানার ওসি দেখছেন বিষয়টি।’

সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল আনোয়ারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ক্যাম্পে আছি। বিষয়টি আমাদের থানা এলাকায় পড়েনি। কবাখালি দীঘিনালা থানায় পড়েছে।’

পুলিশের এমন দায়সারা বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাজারের ব্যবসায়ী নেতারা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!