‘সেলফি তোলা’ নিয়ে আসলাম অনুসারীদের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ

‘সেলফি তোলা’ নিয়ে আসলাম অনুসারীদের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ 1বিশেষ প্রতিবেদক : আদালত প্রাঙ্গনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘাতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। সোমবার বেলা ১২টার দিকে নতুন আদালত ভবনের নিচ তলায় কেন্দ্রীয় এ নেতার সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের দাবি, সেলফি তোলা নিয়েই এই ঘটনার সূত্রপাত।

আহতরা হলেন- মো. সাহেদ, আসিফ মিজান ও আনিচ আকতার টিটু। তিনজনই সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা; তারা আসলাম চৌধুরীর অনুসারী ও উত্তর জেলা ছাত্রদলের কর্মী।

আদালত ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে আসলাম চৌধুরীর হাজিরা ছিল। হাজিরা শেষে কারাগারে আসলামকে নিয়ে যাবার পর আদালতের বাইরে উত্তর জেলা ছাত্রদলের দুই গ্রুপে মারামারি হয়। এতে ছাত্রদলের এক নেতা আহত হন। এ ঘটনার রেশ ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে চাপা ক্ষোভ, উত্তেজনা ছিল। সোমবার আসলামকে আদালত থেকে ফিরিয়ে নেয়ার সময় সেলফি তোলা নিয়ে অনুসারীদের দুই গ্রুপের হুড়োহুড়ির মধ্যেই দুুইজনকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এছাড়া মারধরে আহত হয়েছে আরও একজন।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী জানান, আসলাম চৌধুরীকে জেলা জজ আদালতে হাজিরার জন্য আনা হয়। হাজিরা শেষে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় সেলফি তোলা নিয়ে মারামারি শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় ছুরিকাঘাতে দুজনসহ তিনজন আহত হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, আদালতে সংঘাতের ঘটনায় ছুরিকাহত হয়ে সাহেদ নামের একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পেটে ও পিঠে ছুরিকাহত হয়েছে সে। তার অবস্থা গুরুতর।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি বলেন, এ ঘটনা নিন্দনীয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাথে বৈঠক করে সরকার উৎখাতের চেষ্টার অভিযোগে গত বছরের ১৫ মে গ্রেফতার হন আসলাম চৌধুরী। চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা বিচারাধীন আছে। এসব মামলায় হাজিরা দিতে আসলামকে প্রায় চট্টগ্রাম আদালতে আনা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!