বর্ষার আগে মহেশখালের বাঁধ না ভাঙলে বন্দর ভবন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি

বর্ষার আগে মহেশখালের বাঁধ না ভাঙলে বন্দর ভবন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি 1প্রতিদিন রিপোর্ট : মহেশখালের মরণ-বাঁধ বর্ষা মৌসুমের আগে না ভাঙ্গলে বন্দর ভবন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

শুক্রবার (০৩ মার্চ) বিকেলে পোর্ট মার্কেট চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেন ।

সমাবেশে তিনি বাঁধের প্রভাবে মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় মশার কয়েল এবং দুর্গন্ধ থেকে বাঁচার জন্য আগরবাতি বিতরণ করেন। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন, শ্রমিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।

খোরশেদ আলম সুজন বলেন, কিছু কুলাঙ্গার, কিছু সরকারবিরোধী লোক স্থানীয় জনগণকে সরকারের বিপক্ষে ক্ষেপিয়ে তুলতে মহেশখালের ওপর বাঁধটি দেওয়া হয়েছে। অপরিকল্পিত বাঁধটি দেওয়া হয়েছে পরিকল্পিত উদ্দেশ্য নিয়ে। তা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা। আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকাকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে বাঁচাতে ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর মহেশখালের ওপর এ বাঁধটি দেওয়া হয়।

তিনি আরোও বলেন, অপরিকল্পিত ওই বাঁধের কারণে উজানে খাল ভরাট হয়ে মশার প্রজনন ক্ষেত্র হয়েছে। দিনের বেলায় মশারি টাঙিয়ে দোকানদারি করতে হচ্ছে। দুর্গন্ধের কারণে মানুষ বাঁধের আশপাশের মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারছেন না। বন্দরের কোনো স্থাপনা রক্ষার জন্য বাঁধটি দেওয়া হয়নি। মাফিয়াদের খুশি করতে হালিশহরবাসীকে পানিতে ডুবিয়ে মারতে বাঁধটি দেওয়া হয়েছে। এর দায়ভার বন্দরকেই নিতে হবে।

সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে হাজি হোসেন কোম্পানির সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হাজি জহুর আহমদ কোম্পানি।

সমাবেশে জহুর আহমদ কোম্পানি বলেন, মহেশখালের মুখে স্লুইসগেট নির্মাণের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ছয় মাসের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এ বাঁধ নির্মাণের কথা বলেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। এখন দুই বছর পেরিয়ে গেছে। স্লুইসগেটের খবর নেই। বর্ষায় বাঁধের নিচের এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। আবার ভাটার সময় বাঁধের ওপরের পানিও নামছে না। এটি কাদের উপকারের জন্য দেওয়া হয়েছে? শিগগির বাঁধ ভেঙে না দিলে বন্দর ভবন ঘেরাও করবে এলাকাবাসী।

সদস্যসচিব হাবিব শরীফের পরিচালনায় বক্তব্য দেন বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আলম, সহ-সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মো. ইলিয়াছ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুল ইসলাম, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মান্নান, শওকত হোসাইন, মাহবুবুল হক সুমন, নজির আহমদ সওদাগর, আব্দুল হাকিম সওদাগর, এসএম আবু তাহের, মো. কামাল উদ্দিন মেম্বার, মো. এজাহারুল হক, মো. জানে আলম, মো. মোরশেদ আলম, আব্দুল আজিম, শামসুল আলম, মো. জসিম উদ্দিন, আবদুস সালাম মাসুম, এনামুল হক মিলন, হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন, মোর্শেদ আলী, আবু ছালেহ জুয়েল, মো. শাহজাহান, সৈয়দ মুনির, নজরুল ইসলাম টিটু, ছালেহ আহমদ, এমদাদুল হাসান, নুরুল কবির, সেলিম মাহমুদ, এসএম ফারুক, মো. সালাউদ্দিন, লিটন মহাজন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন সাইফুল ইসলাম, জাইদুল আলম দুর্লভ, স্বরূপ দত্ত রাজু, মো. ওয়াসিম, মো. আলমগীর, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, আশিকুন্নবী চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, বিকাশ দাশ, রুমেল বড়ুয়া রাহুল, নোমান চৌধুরী, দীপংকর সৌম্য শান্ত, শাহাদাত হোসেন বুলু, জিয়াউল হক জিয়া, মিজানুর রহমান জনি, মনিরুল হক মুন্না, তানভীর বিন হাসান, শফিউল আলম বাদশা, মো. নোমান, মো. গিয়াস, রতন বড়ুয়া, সুমন দে বাবু, সবুজ দে রতন, মো. জাহিদ, হাসান হাবিব সেতু, লুৎফুল কবির সোহাগ, মো. কাইয়ুম, সাদ্দাম হোসেন, মো. সায়েম, সাকিব চৌধুরী, বিজন দে, মো. আনোয়ার, মো. নাভিদ, মো. আলভী, স্বদেশ দাশ, কায়সার হামিদ, মো. সুমন প্রমুখ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!