আনোয়ার হোসেন ফরিদ, ফটিকছড়ি ::: আগামী ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে ফটিকছড়ি উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে নির্বাচন। এতে আওয়ামীলীগ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তৃণমূলের ভোটে প্রার্থী চূড়ান্ত করলেও বিএনপিতে কি হচ্ছে? ইউনিয়ন জুড়ে এলোমেলো কর্মকান্ড।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মিলে প্রার্থী চূড়ান্ত করে উত্তরজেলা বিএনপির মাধ্যমে কেন্দ্রে প্রেরণ করলেও গুলশানে (খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়) গিয়ে সব অগোছালো হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার যাঁরা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর কাছ থেকে মোঠা অংকের অর্থ নিয়ে স্বেচ্ছায় নির্বাচনী থেকে সরে দাড়াঁচ্ছে বলেও খবর উড়ছে ফটিকছড়ির রাজনীতির বাতাসে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, এক কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা সহ বিএনপির প্রার্থীরা শক্ত প্রতিদ্বন্ধির সাথে আতাঁত করে অর্থের বিনিময়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়াঁচ্ছেন। আবার কেউ কেউ নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়াঁলেও তা শুধুমাত্র অজুহাত বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিজ্ঞ মহল।
জানা যায়, ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির আলাদা দুটি বলয় নিজ নিজ অনুসারীদের চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে কেন্দ্রে পাঠালেও ছালাউদ্দীন আহমদ গ্রুপকে এড়িয়ে সরওয়ার আলমগীর গ্রুপের প্রার্থীদের দলীয় একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এরপর দলীয় প্রতীক নিয়ে যথানিয়মে বিএনপির প্রার্থীরা মাঠে নামলেও অনেকেই নির্বাচন থেকে সরে গেছেন।
বাগান বাগান ও লেলাংয়ে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন রহস্যজনক কারণে বাতিল হয়। তথ্যগত ভূল কেন এ দু’প্রার্থী এবং সাবেক এই দু’চেয়ারম্যানের চোখে পড়ল না তা নিয়ে ধ্রমজাল সৃষ্টি হয়েছে। দাঁতমারা, নারায়ণহাট, ভূজপুর, হারুয়ালছড়ি, পাইন্দং, কাঞ্চননগর, সুন্দরপুর, রোসাংগিরী, বখতপুর ইউনিয়নের দলীয় একক প্রার্থী এখনো মাঠে থাকলেও নির্বাচন থেকে সরে দাড়াঁলেন সমিতিরহাট ও ধর্মপুরের দলীয় প্রার্থী।
অন্যদিকে, মনোনয়ন পাওয়ার পরও তা দাখিল করেননি জাফতনগরের প্রার্থী নুরুউদ্দিন। নির্বাচন থেকে সরে দাড়াঁনো বিএনপির প্রার্থীরা নিরাপত্তার কথা বললেও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা বলছেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। জনপ্রিয়তা হারিয়ে বিএনপি ভিন্নকৌশল অবলম্বন করছে।
চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নবনির্বাচিত যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, যাঁরা অর্থের বিনিময়ে বা অন্যকোন কারণে নির্বাচন থেকে সরে দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করেছেন, তদন্ত পূর্বক তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::….