প্রধানমন্ত্রী এখনও জীবন ঝুঁকিতে! জিয়া ও খালেদা বাঙালি জাতিসত্তার ধ্বংসের ক্রীড়নক -মেয়র আ জ ম নাছির

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও জীবন ঝুঁকিতে আছেন। কারণ এক যুগ পরও ২১ আগস্টের বিচার হয়নি। এই হামলার মূল পরিকল্পক পলাতক তারেক জিয়া লন্ডনে বসে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রসাদ চক্রান্তের নীলনক্সা বুনছেন।

 

আজ বিকেলে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের অপচেষ্টায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ১২ তম বার্ষিকীতে টিআইসিতে চট্টগ্রাম Amir Photoমহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।

 

তিনি আরো বলেন, ৭৫‘র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা ৩ নভেম্বরের জেলা হত্যা  এবং ২০০৪ এর আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। এর পরিকল্পনাকারীরা ৭১ এর পরাজিত শক্তির দোসর। তাই তারা বাংলাদেশ চায় না। বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়। তাদের একমাত্র লক্ষে বাঙালি জাতিসত্তাকে নেতৃত্বশূন্য করা। এ কারনে শেখ হাসিনা এখনও তাদের প্রধান টার্গেট।

 

তিনি বাংলাদেশ জঙ্গীবাদ উত্থানে বিএনপিও খালেদা জিয়াকে দায়ী করে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরই বাংলাদেশকে পাকিস্তানীকরণের প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন জিয়াউর রহমান। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাতকে পুর্নবাসন করেন। বেগম জিয়া ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো দুই যুদ্ধাপরাধীকে মন্ত্রী বানিয়ে জাতির সাথে বেঈমানী করেছেন।

 

২০০১ সালে জামাতকে নিয়ে ক্ষমতায় এসে তিনি জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটিয়েছেন। তাদের এখনো পৃষ্ঠপোষকতা করে চলেছেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন বিএনপি জামাত জোট গ্রেনেড হামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে জয় মিয়া নাটক সাজিয়ে আষাঢ়ে গল্প ফাঁদানো হয়েছিল। ওয়ান ইলেভেনের পর সুষ্ঠু তদন্তে প্রমাণিত হয় এই গ্রেনেড হামলার সাথে সরাসরি যুক্ত হাওয়া ভবন ও তারেক জিয়া। এরপর আওয়ামী লীগ টানা ৭  বছর ক্ষমতায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত গ্রেনেড হামলার বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ায় জাতি ক্ষুব্ধ।

 

সভাপতির বক্তব্যে সহ সভপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা বিশ্ব মানবতাকে কলঙ্কিত করেছে। কলঙ্কের এই দায় সোচন করতে বঙ্গবন্ধুর হত্যকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের মত ২১ আগস্টের খলনায়কদের ফাঁসির দড়িতে ঝোলাতে হবে।

 

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক চন্দন ধর, শ্রম সম্পাদক আবদুল আহাদ, মহিলা সম্পাদক জোবায়রা নার্গিস খান, নির্বাহী সদস্য ও মহানগর শ্রমিক লীগ সভাপতি বখতেয়ার উদ্দিন খান, চকবাজার থানার সভাপতি আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন আহমেদ, পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব আলী বক্স, কাউন্সিলল সলিমুল্লাহ বাচ্চু, শেখ সোহরাওয়ার্দী, হাজী আবু তৈয়ব সিদ্দিকী, ফয়েজুল্লাহ চৌধুরী বাহাদুর। সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, আইন সম্পাদক এডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, উপ প্রচার সম্পাদক শহীদুল আলম, নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইয়াকুব, আবুল মনসুর, গৌরাঙ্গ চন্দ্র ঘোষ, আহমেদ ইলিয়াস, অমল মিত্র, প্রকৌশলী বিজয় কিষাণ চৌধুরী, আবদুল লতিফ টিপু, হাজী বেলাল আহমেদ, থানা আওয়ামী লীগের মোমিনুল হক, কাজী আলতাফ হোসেন, মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, মো: আনছারুল হক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ছৈয়দ মোহাম্মদ জাকারিয়া, মো: রফিকুল হোসেন বাচ্চু, আবদুল মান্নান, আবুল বশর, মো: জামাল উদ্দিন, আবু আবছার চৌধুরী, এস কে পাল, জামাল উদ্দিন, আবদুস শুক্কুর ফারুকী।

 

সভার শুরুতে ২১ আগস্টে শহীদ নারী নেত্রী আইভী রহমান সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মুনাজাত করেন নির্বাহী সদস্য আবুল মনসুর।

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!