ভিডিও/ ডা. শাহাদাতের নির্দেশে ছাত্রদল সভাপতির নেতৃত্বে বিএনপির নেতার বাসায় হামলা

অভিযোগ দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা নুরুল আনোয়ারের

চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ের মনোরমা আবাসিক এলাকায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি নুরুল আনোয়ারের বাড়ি ভাঙচুর করেছে একদল যুবক। নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাতের নির্দেশে এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ জেলার ওই নেতা।

নুরুল আনোয়ার জানান, বুধবার (১৯ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় চান্দগাঁও থানার কে বি আমান আলী সড়কের মনোরমা আবাসিক এলাকায় তার বাড়িতে এই হামলার নেতৃত্ব দেন নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ উল্যাহ।


যেভাবে হল হামলার ঘটনা

জানা যায়, ডা. শাহাদাত হোসেন এবং নুরুল আনোয়ারের গ্রামের বাড়ি চন্দনাইশ। কিন্তু দুজনের রাজনীতি দুই জায়গায়। ডা. শাহাদাত কেন আপনার বাড়িতে হামলার নির্দেশ দেবেন—এমন প্রশ্ন করলে নুরুল আনোয়ার বলেন, ‘দক্ষিণ জেলার এক সভায় আমি সাংগঠনিক কমিটি গঠনে ডা. শাহাদাতের হস্তক্ষেপ নিয়ে কথা বলেছি। দক্ষিণ জেলার কেউ সেই কথা ডা. শাহাদাতকে বললে তিনি আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন। বুধবার সকালে ডা. শাহাদাত মুঠোফোনে আমাকে হুমকি দেন। বিকেলেও ফোন করে হুমকি দেন। হুমকি দেওয়ার ঘন্টাখানেকের মধ্যে গাজী সিরাজের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন যুবক আমার বাসায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

নুরুল আনোয়ার চন্দনাইশ সদর আসনের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার প্রশাসক ছিলেন। তিনি দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি এবং চন্দনাইশ পৌর বিএনপিরও সভাপতি।

তবে হামলার নির্দেশের কথা অস্বীকার করে ডা. শাহাদাত বলেন, ‘আমার ৩০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে হামলা, ভাঙচুরের রেকর্ড নেই। শুনেছি উনার সাথে স্থানীয়দের কথা কাটাকাটি হলে উনি গালমন্দ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী উনার বাসায় হামলা চালান। এলাকাবাসী মানে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সবাই।’

নগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী সিরাজ উল্যাহ বলেন, ‘নুরুল আনোয়ার সাহেবের ছেলের গাড়ি স্থানীয় এক ছেলেকে চাপা দিলে ড্রেনে পড়ে তার হাত-পা ছিঁড়ে যায়। তাকে স্থানীয়রা মেডিকেল নিয়ে চিকিৎসা দেয়। চিকিৎসায় সহায়তা না করে আনোয়ার সাহেবের ছেলে স্থানীয়দের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। তখন স্থানীয়রা ভাঙচুর করেন। এখানে রাজনৈতিক কিছু নেই। আমিও নেই। শাহাদাত ভাই থাকার তো প্রশ্নই উঠে না।’

জানতে চাইলে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘হামলার খবর পেয়ে থানার ফোর্স পাঠিয়েছি। ভাংচুরের প্রমাণ পাওয়া গেছে। রাত ১১টা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়ের হয়নি। মামলা হলে আমরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!