পটিয়া প্রতিনিধি : দক্ষিণ জেলা বিএনপির কর্মী সভায় দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় অর্ধ শতাধিক গাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধূরী টিপুসহ দেড় হাজার বিএনপি নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ছৈয়দ মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার এই মামলা দায়ের করেন। বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত এ মামলায় এজাহার নামনীয় ১৮৮ জনকে আসামী করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান টিপু ছাড়াও আসামীদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি ও এক গ্রুপের নেতা এনামুল হক এনাম, পটিয়া পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক নুরুল ইসলাম সওদাগর, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তৌহিদুল আলমসহ বেশ কয়েক শীর্ষস্থানীয় নেতা রয়েছে। তবে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং ছুরিকাঘাতে আহত জেলা বিএনপি নেতা এনামুল হক এনাম বর্তমানে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেল দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে পটিয়া সদরের হল টু ডে কনভেশন সেন্টারে কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল কেন্দ্রীয় কমিটির ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন। কিন্তু পটিয়ার সাবেক সাংসদ গাজী মোঃ শাহজাহান জুয়েল ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি এনামুল হক এনামের অনুসারীদের মধ্যে মারামারি শুরু হলে এক পর্যায়ে তারা মহা সড়কে অর্ধ শতাধিক গাড়ী ভাংচুর করে। ঘটনার কারণে অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নেতারা আর উপস্থিত হননি।
পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী টিপু বলেন, পুলিশ ইষান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা রেকর্ড করেছে। অথচ কর্মী সভার পূর্বে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানালেও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বিলম্বে। ফলে গুটি কয়েক যুবকের কারণে কর্মী সভার এক কিলোমিটার দূরে বিশৃঙ্খলা ও কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর করেছে। এতে তিনি কোনভাবেই জড়িত নয়। আগামী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তাকে কোনঠাসা করতে পরিকল্পিতভাবে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। শুধু তা নয় তিনি অধ্যাপনা জীবনে ও ছাত্র রাজনীতিকালে তাঁর বিরুদ্ধে কোন সময় থানায় জিডি পর্যন্ত ছিল না বলে জানান।