ত্যাগী নেতারা জায়গা চান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে
সৎ ও ত্যাগী নেতারা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এবার জায়গা চাইছেন। কমিটিতে ঠাঁই পাবার জন্য তারা প্রায় প্রতিদিনই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাচ্ছেন। তারা মনে করছেন, দলকে এগিয়ে নেবার জন্য যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই।
অসংখ্য মামলার শিকার একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা দলকে সব কিছুই দিয়েছি, কিন্তু কিছুই পাইনি। যদি ছাত্রদলের নেতাদের বয়স নির্ধারণ করা হয় তাহলে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দলকেও একটা বয়সসীমার মধ্যে আনতে হবে।
বুধবার কথা হয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসম্পাদক আ ক ন মো. আল মামুনের সঙ্গে। তিনি সাংগঠনিক সম্পাদকের পদপ্রত্যাশী। এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করে হাজারো শিক্ষার্থীকে রাজনীতিতে আংশগ্রহণের পথ প্রশস্ত করে দিয়েছি। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাড়িয়ে দলের সঙ্গে থেকেছি। জীবন ও যৌবনের সোনালী সময়গুলোর প্রেম, ভালবাসা, পরিবার ও অর্থ সব ত্যাগ করে দল ও আদর্শ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
পরে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে বেশকিছু ছাত্রদল কর্মীর কথা হয়। তারা দলকে উজ্জীবিত করতে সৎ ও ত্যাগী নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন বলে জানান।
জানা গেছে, গত ২৩ জুন বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির তফসিল ঘোষণা করা হয়। এ সময় জানানো হয় বিবাহিতরা কোনোভাবেই কাউন্সিলে প্রার্থী হতে পারবেন না। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং ছাত্রদলের নির্বাচন পরিচালনা ও বাছাই কমিটির প্রধান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘নব উদ্যমে ছাত্রদলকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাউন্সিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৫ জুলাই কাউন্সিলের মাধ্যমে সরাসরি নেতৃত্ব নির্বাচন হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন, বাছাই ও আপিল কমিটি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ভোটার তালিকা প্রকাশ করাসহ অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা করা হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০০ সাল বা এর আগে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন—এমন ব্যক্তিরা এবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ প্রত্যাশী হতে পারবেন। তবে কাউন্সিল নিয়ে ছাত্রদলের মধ্যে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের অবস্থায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে।
এক পক্ষ বলছে, সিন্ডিকেট নিজেদের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনতে তাদের মতো করে শর্ত তৈরি করেছে। তবে অপরপক্ষ কাউন্সিলকে স্বাগত জানিয়ে মিছিলসহকারে শোডাউন করেছে।