হাঙ্গেরিগামী জিমন্যাস্টিকস দলে খেলোয়াড় কম, কর্মকর্তা বেশি

খেলোয়াড় ২ জন, কর্মকর্তা ৩ জন

গতবছর পোল্যান্ডগামী মার্শাল আর্ট দলের সঙ্গে সরকারের এক যুগ্মসচিব ও দুই মন্ত্রীর পিএস ও পিএ এবং জাপানগামী শ্যুটিং দলের সঙ্গে এক সিনিয়র সহকারী সচিবের নাম থাকা নিয়ে বিতর্কের ঝড় বইছিল ক্রীড়াঙ্গনে। তৎকালীন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার সরকারী কর্মকর্তাদের ক্রীড়া দলের সঙ্গে বিদেশ ভ্রমন প্রসঙ্গে বলেছিলেন ‘কোনো কর্মকর্তা নির্দিষ্ট ওই খেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকলে তার যাওয়া ঠিক না।’

একই কথা বর্তমান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলেরও। কিন্তু কে শোনেন কার কথা। সুযোগ পেলেই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা নাম বসিয়ে দেন বিদেশগামী বিভিন্ন ক্রীড়া দলে। তাতেই দল ভারী হয় এবং ক্রীড়াবিদের চেয়ে বেশি হয়ে যায় অফিসিয়াল।

এই যেমন জুনিয়র জিমন্যাস্টিকস দলের সঙ্গে হেড অব ডেলিগেশন হিসেবে হাঙ্গেরি যাওয়ার জন্য সরকারী আদেশ (জিও) নিয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিব মো. মাসুদ করিম।

আগামী ২৩ থেকে ২৭ মে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে হবে পঞ্চম আন্তর্জাতিক জুনিয়র বুদাপেস্ট কাপ আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকস। যেখানে দুইজন জিম্যান্যাস্টের সঙ্গে কর্মকর্তাই থাকছেন তিন জন। হেড অব ডেলিগেশন হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব ছাড়াও আছেন কোচ আবদুল্লাহ আল মাসুম ও ম্যানেজার হাবিবুর রহমান। তবে ক্রীড়াঙ্গনে বেশি আলোচনা এনএসসির সচিব এই দলের সঙ্গে থাকায়।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিবের হাঙ্গেরীগামী জিমন্যাস্টিকস দলের সঙ্গে কর্মকর্তা হয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘যদি সচিব জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকেন তাহলে তার যাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমি দেখি খোঁজ নিয়ে।’

প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ থেকে জিমন্যাস্ট যাচ্ছেন একজন আবু সাঈদ রাফি। আরেক জিমন্যাস্ট আলী কাদের হক নিউজিল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি। তিনি সেখান থেকেই হাঙ্গেরী যাবেন। মাতৃভূমির হয়ে প্রথমবারের মতো কোনো ইভেন্টে অংশ নিতে যাচ্ছেন এই জিমন্যাস্ট। কোনো রকম প্রস্তুতি ছাড়াই আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকসের আন্তর্জাতিক আসরে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, সঙ্গে দল বেঁধে কর্মকর্তারা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!