মেয়র অ্যাকাডেমি কাপে ব্রাইট ও নিও ক্রিকেট অ্যাকাডেমির সহজ জয়

মেয়র অ্যাকাডেমি কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে একপেশে ম্যাচে ব্রাদার্স ক্রিকেট অ্যাকাডেমিকে হারিয়ে জয়ের দেখা পেয়েছে ব্রাইট ক্রিকেট অ্যাকাডেমি। দিনের অন্য ম্যাচে নিও ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কাছে পাত্তা পায়নি আগের ম্যাচেও হারা পোর্ট সিটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমি।

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস) আয়োজিত মেয়র অ্যাকাডেমি কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ব্রাদার্সকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় ব্রাইট। নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাইজিং স্টারের কাছে সুপার ওভারে হেরে যাওয়ায় এই ম্যাচটি জেতা ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল না ব্রাইটের কাছে। তাই শুরু থেকেই তারা চেপে ধরে ব্রাদার্সের ব্যাটসম্যানদের। ব্রাইটের বোলারদের নিখুঁত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ব্রাদার্স। ফলে ১৮.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে তারা করতে পারে মাত্র ৭৯ রান। দলের পক্ষে ছয়ে নামা মিরাজ সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন। এছাড়া আল আমিন ১৯, সাজ্জাদ ১২ ও মঈনুল ১০ রান করেন। ব্রাইটের পক্ষে শহীদুল নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া হারুন, পারভেজ ও মনজু নেন ২টি করে উইকেট।

জবাবে ব্রাইট ক্রিকেট অ্যাকাডেমি ৪ রানে প্রথম উইকেট হারালেও জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি। বিশেষ করে বল হাতে সফল শহীদুলের অনবদ্য ৪০ বলে ৪০ রানের ইনিংসে ১৪ ওভারেই মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয় পেয়ে যায় ব্রাইট। ইরফানুল হক কায়েশ ১৪ রানে আউট হয়ে গেলেও রাকিব ১৭ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।

মেয়র অ্যাকাডেমি কাপে ব্রাইট ও নিও ক্রিকেট অ্যাকাডেমির সহজ জয় 1
ম্যাচ সেরা রতন দাশ ও শহীদুলের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন যথাক্রমে সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু ও কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব

দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নিও ক্রিকেট অ্যাকাডেমি বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুললেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। রানখরায় ভূগা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটিতে কিছুটা রানের ঝলক দেখান নিও। ১১.৩ ওভারে ৭৩ রানে হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। এরমাঝে রবিন (২৬ বলে ২০), শরীফ (১০ বলে ১৭) ও দলনেতা ইমরুল (২৫ বলে ২৫ রান) বিদায় নেন। আফসারুল ও বাপ্পা উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই ফিরে যান। এরপর উইকেটে এসে ম্যাচের চেহারা পাল্টে দেন টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টখ্যাত রতন দাশ। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩১ বলে খেলেন ৬৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস। তার ক্যামিও ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮টি ছয়ে। ভারী আউট ফিল্ডে কোন চারের দেখা না পেলেও ঠিকই ছক্কা হাকিয়ে দলের রান নিয়ে যান ১৬৪ রানে।
টি-টোয়েন্টির অনভ্যস্ততা ও রান করতে কঠিন উইকেটে ১৬৪ রান চেজ করা বিশাল পাহাড় ডিঙানোর মতো কাজ। সেই পথে হাটঁতেও পারেনি পোর্ট সিটি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তারা করতে পারে মাত্র ১০৬ রান। টানা দুটি ম্যাচ হেরে সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল পোর্ট সিটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমি। পোর্ট সিটির হয়ে মিনহাজ অপরাজিত ৪৮ রান করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!