মেসির ৩০তম জন্মদিন

ক্রীড়া ডেস্ক :আজ ২৪ জুন, লিওনেল মেসির ৩০তম জন্মদিন। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন মেসি ও তার ভক্ত-সমর্থকরা। পিছিয়ে নেই ফুটবল ওয়েবসাইট গোল ডটকমও। বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকার ৩০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে তারা মেসি-ভক্তদের জন্য তুলে ধরেছে মেসির ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি পরিসংখ্যান। মেসির ৩০তম জন্মদিনে মিলল অবাক করা এক তথ্যও। বার্সেলোনার না হয়ে মেসি হতে পারতেন রিয়াল মাদ্রিদেরই ঘরের ছেলে! খেলতে পারতেন রিয়ালের জার্সি গায়ে।

কিন্তু রিয়ালে না গিয়ে মেসি বার্সেলোনার হওয়ার কারণ, হোরাসিও গ্যাগিওলি তখন জীবনের প্রয়োজনে মাদ্রিদ থেকে চলে গিয়েছিলেন বার্সেলোনায়! ২০০১ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে আর্জেন্টাইন ক্লাব নিউ ওল্ড বয়েজ ছেড়ে মেসি যোগ দেন বার্সেলোনায়। তখন এই হোরাসিও গ্যাগিওলিই ছিলেন মেসির এজেন্ট। বার্সেলোনায় মেসির ট্রায়ালের ব্যবস্থা করেছিলেন তিনিই। আর ট্রায়ালে দেখেই মেসির সঙ্গে চুক্তি করার পাকা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে বার্সেলোনা।

তার পরের গল্পটা সবারই জানা। বার্সেলোনার যুবদল, সি দল, বি দল হয়ে বার্সেলোনার মূল দলের হয়ে মেসির অভিষেক ২০০৪ সালে। সেই থেকে ধীরে ধীরে মেসি হয়ে গেছেন বার্সেলোনার প্রতীক। বার্সার প্রায় সব রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছেন। বার্সার জার্সি গায়ে ৮টি লিগ, ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাসহ অসংখ্য শিরোপা। ৫ বার জিতেছেন বিশ্বসেরা ফুটবলারের পুরস্কার। বার্সা আর মেসি এখন যেন হয়ে গেছেন সমার্থক! একটি থেকে আরেকটিকে আলাদা করার উপায় নেই!

কিন্তু হোরাসিও গ্যাগিওলি যদি সেদিন সত্যিই মাদ্রিদে থাকতেন, তাহলে মেসির ট্রায়াল হতো রিয়ালেই। আর রিয়ালও নিশ্চয় বিস্ময়কর এই প্রতিভাকে হাতছাড়া করত না! বার্সা সমর্থকরা তাই খুশির ঢেঁকুর তুলে বলতেই পারে, ভাগ্যিস সেদিন হোরাসিও গ্যাগিওলি মাদ্রিদ থেকে বার্সেলোনায় গিয়েছিলেন!

এতোদিন পর সেই কথাটা জানালেন হোরাসিও গ্যাগিওলি নিজেই। গ্লোবস্পোর্তেকে হোরাসিও বলেছেন, ‘আমি এমনিতে মাদ্রিদেই বসবাস করতাম। কিন্তু জীবনের এক চরম পরিস্থিতিতে আমি তখন বার্সেলোনায় চলে যাই। এবং ওকে বার্সেলোনায় ট্রায়াল দিতে নিয়ে আসি। আমি যদি মাদ্রিদে থাকতাম, তাহলে ওকে রিয়াল মাদ্রিদেই ট্রায়াল দিতে নিয়ে আসতাম। সেটা হলে, আজ অবশ্যই মেসি হতেন রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়। কিন্তু তা না হয়ে সে এখন বার্সেলোনার খেলোয়াড়। আসলে জীবন এমনই।’

এমনিতেই ছোটখাট গড়ন। তার উপর হরমোনজনিত রোগের কারণে তখন মেসির শারীরিক অবস্থায়ও ছিল শোচনীয়, হাড্ডিসার অবস্থা। ফলে ট্রায়ালের আগে বার্সেলোনার কোচ-কর্মকর্তারা তো বটেই; মেসিকে প্রথম দেখে হোরাসিও গ্যাগিওলি নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, এই ছেলে ফুটবল খেলতে পারে! ‘ওকে যখন আমি বিমানবন্দরে প্রথম দেখি, আমি ভাবতেই পারছিলাম না, এই ছেলে একজন ফুটবলার। কারণ, সে ছিল খুবই ছোট এবং শীর্ণকায়। কিন্তু মাঠে ট্রায়ালে দেখার পরই বুঝে যাই, সে গ্রেট খেলোয়াড় হবে।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!