চট্টগ্রাম আবাহনীর সপ্তম জয়ের দিনে জিতেছে শাহজাহান সংঘও

সিজেকেএস প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ

প্রথম তিন ম্যাচে পঁচা শামুকে পা না কাটলে আজ নির্ঘাত শিরোপার স্বাদ নিয়ে বিজয়োল্লাসে মেতে উঠতে পারতো চট্টগ্রাম আবাহনী। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে তারা ৩ উইকেটে ইস্পাহানি স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে সপ্তম জয় পায়। একই দিনে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে মাত্র ১০ রানে জয় পেয়েছে শহীদ শাহজাহান সংঘ। এবারের প্রিমিয়ার লিগে এটি শাহজাহান সংঘের ষষ্ঠ জয়।

চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দলকে ৪১ রানের ভিত্তি এনে দেন দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও পঙ্কজ বিশ্বাস। সাজ্জাদ হোসাইনের একমাত্র শিকারে পরিণত হওয়ার আগে পঙ্কজ তিন বাউন্ডারির সাহায্যে ২১ রান করেন। এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এসে জুটি গড়েন পিনাকের সাথে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এই দুজন ইস্পাহানিকে ৯০ রান এনে দেন। আবু বক্করের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হওয়ার আগে হাফ ডজন বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৭ রান করেন এবারের লিগে ধারাবাহিকভাবে বড় ইনিংস খেলা পিনাক। দলীয় ১৩৯ রানের মাথায় ইস্পাহানি হারায় পারভেজ হাসানকে।

এরপর বাকি সময়টা ছিল ইস্পাহানি ব্যাটসম্যানদের। ম্যাচের বাকি ১৫ ওভারে শত চেষ্টা করেও ইস্পাহানির আর কোন ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারেননি আবাহনীর বোলাররা। আবাহনীর বোলারদের হতাশায় ভুগিয়ে নিজের রানকে তিন সংখ্যার ম্যাজিক ফিগারে নিয়ে যান মাহিদুল। তিনি ১০৫ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ২ ছয়ের সাহায্যে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শাহাদাত হোসাইন দিপু। তিনি ৪৪ বলে এক হালি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারিতে অপরাজিত ৫২ রান করেন। ফলে তাদের স্কোর গিয়ে দাড়ায় ২৫৬ রানে। জবাবে ২১রানে সাজ্জাদকে হারানো আবাহনী নিজেদের রান একশ পার হওয়ার আগেই হারিয়ে ফেলেন ৬টি উইকেট! এর মধ্যে বলার মতো স্কোর করেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মিরাজুল হক। তিনি পাঁচ বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৮ রান করে আউট হন।

সপ্তম উইকেট জুটিতে আবাহনীর হাল ধরেন জাতীয় তারকা রনি তালুকদার ও আবু বক্কর। এ দুজনে গড়েন ৬৫ রানের জুটি। দলীয় ১৫৯ রানের মাথায় ৪০ বলে ৪৩ রান করে আউট হন আবু বক্কর। আবু বক্কর আউট হলেও সাইদুল ইসলাম ইমরানকে (২১ রানে অপরাজিত) নিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন রনি তালুকদার। তাঁর ৭৬ বলের ৮৯ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল এক হালি চার ও আধা ডজন ছয় দিয়ে। ইস্পাহানির শাখাওয়াত তিনটি এবং আদিল নেন দুইটি উইকেট। লিগে ইস্পাহানির এটি ষষ্ঠ পরাজয়।

দিনের অন্য ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে মোস্তাকিম ও বিজয়ের অর্ধশতকের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৫৬ রান করে। বিজয় ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন, মোস্তাকিম করেন ৫২ রান। এছাড়া রিফাত ৩৩, মুন্না ৩৩, রাসেল ২৭, জুলহাজ ১৯ রান করেন। মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্রের জাফর নেন ২ উইকেট। জবাবে মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্রের মামুন রশীদের অনবদ্য ৮৫ রান এবং পারভেজের অপরাজিত ৫১ রানের পরও ১০ রানের জন্য জয় বঞ্চিত হতে হয় তাদেরকে। শাহজাহান সংঘের শহীদ নেন ৪ উইকেট।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!