আফগানিস্তানের নতুন অধিনায়ক রশিদ খান

তিন ফরম্যাটেই দায়িত্ব পালন করবেন তিনি

আফগানিস্তানের অধিনায়কত্ব যেন মিউজিক্যাল চেয়ার খেলায় পরিণত হয়েছে। বিশ্বকাপের ঠিক আগে সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল আফগানিস্তান। এপ্রিল মাসে হঠাৎ করে দলের গঠনে আমূল পরিবর্তন এনেছে তারা। সফল অধিনায়ক আসগর আফগানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সে সিদ্ধান্তের ফল বিশ্বকাপেই পেয়েছে তারা। গুলবদিন নাইবের বিশ্বকাপ থেকে নয়টি ম্যাচেই হেরে বিদায় নিয়েছে আফগানিস্তান।

বিশ্বকাপের পরে আফগানিস্তান বোর্ড আবারও চমক দেখাল। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায়ে শুধু ওয়ানডে অধিনায়কই বদলায়নি তারা। তিন সংস্করণেই অধিনায়ক বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তান বোর্ড। দলের বোলিং আক্রমণের মূল ভরসা রশিদ খানকে তিন সংস্করণেই অধিনায়ক করা হয়েছে। আর বিশ্বকাপের আগে হঠাৎ অপ্রয়োজনীয় হয়ে যাওয়া আসগরকে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে, সেটাও তিন সংস্করণে!

এপ্রিলে ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির জন্য তিনজন অধিনায়ক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আফগানিস্তান নির্বাচক কমিটি। তখন ওয়ানডে অধিনায়ক করা হয়েছিল গুলবদিন নাইবকে। টেস্টের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল রহমত শাহকে। আর টি-টোয়েন্টির জন্য রশিদ খান। তিন সংস্করণের জন্য আলাদা আলাদা তিনজন সহ-অধিনায়কও নির্বাচিত করেছিল আফগান ক্রিকেট বোর্ড। ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির জন্য সহ-অধিনায়ক নির্বাচিত করা রয়েছে যথাক্রমে রশিদ খান, হাশমতউল্লাহ শহীদী ও শফিকউল্লাহ শফিককে।

ক্রিকইনফো দাবি করছে বিশ্বকাপে সহ-অধিনায়ক হিসেবে যাওয়া রশিদকে নাকি বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডের অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রশিদ সে প্রস্তাবে তখন রাজি হননি। হতাশার বিশ্বকাপ শেষে আবার তিন সংস্করণেই অধিনায়ক করা হলো তাঁকে।

বিশ্বকাপের আগে আগে অধিনায়ক বদলের সিদ্ধান্তের সময়ই প্রতিবাদ করেছিলেন রশিদ খান। একে দায়িত্বজ্ঞানশূন্য ও পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত বলে আফগান প্রেসিডেন্ট, প্রধান নির্বাহী ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরামর্শকের হস্তক্ষেপ আশা করেছিলেন। মোহাম্মদ নবীও আসগর আফগানের পক্ষে তখন কথা বলেছিলেন। তখন নির্বাচকেরা এ ব্যাপারে কর্ণপাত করেননি। কিন্তু বিশ্বকাপে গুলবদিন নাইবের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ কারণেই সাধারণ সভায় তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আফগান ক্রিকেটের পোস্টার বয় রশিদই এখন দেশকে সব সংস্করণে নেতৃত্ব দেবেন। আর তাঁকে সহায়তা করবেন সাবেক অধিনায়ক আসগর। তবে রহমত শাহের জন্য মায়া হতেই পারে। একটি দেশের টেস্ট অধিনায়ক নির্বাচিত হয়ে একটি ম্যাচও নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেলেন না। ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার বহু আগেই দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হলো!

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!