প্রতিদিন রিপোর্ট :
ওজন মাপক যন্ত্রে কারচুপি, অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি, জলদাখানার বাইরে পশু জবাই, মূল্যতালিকা না থাকা মেয়াদোত্তোর্ণ খাদ্যপণ্য ও মেয়াদকালবিহীন নিম্নমানসম্পন্ন শিশু খাদ্য বিক্রির অপরাধে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়িকে জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্দ্যোগে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ বৃহস্পতি সকাল ৮ টা থেকে নগরীর পাহাড়তলী ও বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের নের্তৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফোরকান এলাহি অনুপম। এসময় মৎস্য অফিসার কামালউদ্দিন আহমেদ, বিএসটিআই এর পরিদর্শক মোঃ মুকুল উপস্থিত ছিলেন। মোবাইল কোর্টে সহায়তা প্রদান করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান এর দায়িত্বরত সদস্যরা।
মোবাইল কোর্টের নের্তৃত্ব দেওয়া ম্যাজিস্ট্রেট ফোরকান এলাহী জানান, ভেজাল ও জোরচুরির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আজকের পরিচালিত অভিযানে নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে মেসার্স বাচামিয়া সওদাগর এর সত্ত্বাধিকারী মোঃ ইসহাককে ৫ হাজার টাকা, মুরগী বিক্রতা আল-আমিনকে ওজন মাপক যন্ত্রে কারচুপির অপরাধে ২ হাজার টাকা, শওকত স্টোরের সত্ত্বাধিকারী সাইদুর রহমান সাইদকে মেয়াদোত্তোর্ণ খাদ্যপণ্য ও মেয়াদকালবিহীন নিম্নমানসম্পন্ন শিশু খাদ্য বিক্রির অপরাধে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
অন্যদিকে নগরীর বহদ্দারহাট বাজারে মাংসবিক্রেতা মোস্তাফিজুর রহমানকে জলদাখানার বাইরে পশু জবাই, মূল্যতালিকা না থাকা ও অতিরিক্ত মূল্যে মাংস বিক্রির অপরাধে ৫ হাজার টাকা, মাছ বিক্রেতা বাদশা মিয়াকে ত্রুটিপূর্ণ ওজনমাপক যন্ত্র ও কম ওজনের বাটখারা ব্যবহার করে ওজনে কম দেয়ার অপরাধে ২ হাজার টাকা, সবজি বিক্রতা আবুল বশরকে ওজনে কম দেয়ার অপরাধে ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এসময় চারটি ত্রুটিপূর্ণ ওজনমাপক যন্ত্র ও বাটখারা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ঘি ও শিশুখাদ্য জব্দ করা হয়। এছাড়া বহদ্দারহাট বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে মাছ বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেনের কাছ থেকে ৮.৫ কেজি বিষাক্ত জেলীযুক্ত চিংড়ি মাছ জব্দ করা হয় এবং ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। সকলের উপস্থিতি জব্দকৃত বিষাক্ত চিংড়ি ধ্বংস করা হয় বলে জানান এ ম্যাজিস্ট্রেট।
রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::