অস্ত্রধারীরা গ্রেপ্তার না হলে ছাত্রলীগের ছাত্র ধর্মঘট

চট্টগ্রাম কলেজে সংঘর্ষে অস্ত্র হাতে হামলীকারীদের চিহ্নিত করে শনিবারের মধ্যে গ্রেপ্তার না হলে ৭ অগাস্ট রবিবার থেকে সর্বাত্মক ছাত্র ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগের একাংশ।

 

বুধবার সকালে চট্টগ্রাম কলেজের প্রধান ফটকে সংবাদ সম্মেলন করে যুবলীগ নেতা নুরুল মোস্তফা টিনুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগের অপর একটি অংশ।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ চৌধুরী টুটুল।

 

১

সংঘর্ষের ঘটনায় নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে দায়ী করে টুটুল বলেন, ‘ওই দিনের সংঘর্ষের জন্য নগর নেতা নুরুল আজিম রনি দায়ী। নুরুল আজিম রনির সাথে যারা ছাত্রলীগের নাম বহন করছে তাদের সবাই অনুপ্রবেশকারী। এদের মধ্যে জনৈক ইউসুফ কবির শিবিরেরর সাবেক সাথী ছিলেন,তার পিতাও জামায়াতের রুকন। ঘটনার দিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে স্পষ্ট ছবি আছে কারা গুলি করেছে। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার না করে উল্টো প্রশ্রয় দিচ্ছে।’

 

সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির মধ্যে আছে- ৩১ জুলাইয়ের ঘটনায় গুলিবর্ষণকারী অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ৪ অগাস্ট পুলিশ কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান, ৬ অগাস্ট কলেজে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং ৭ অগাস্ট থেকে সর্বাত্মক ছাত্র ধর্মঘট।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মোক্তার হোসেন রাজু ও সুভাষ মল্লিক সবুজসহ বিভিন্ন স্তরের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

 

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই দুপুরে চট্টগ্রাম কলেজের সামনে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া, গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু গ্রুপের তিনজন ছাত্রলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ছুটোছুটি করতে গিয়ে অন্তরা নামে এক পথচারীসহ আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।  গুলিবিদ্ধ তিন ছাত্রলীগ কর্মীর মধ্যে ইমামের পিঠে এবং জীবন ও বাপ্পীর পায়ে গুলি লাগে। সংর্ঘষের পর এক পক্ষের কর্মীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করার কারণে চকবাজার এলাকায় প্রায় ২ ঘন্টা যানবাহন চলাচল এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সংঘর্ষের দিন রাতে টিনুর অনুসারী সুভাষ মল্লিক সবুজ নুরুল আজিম রনির অনুসারী ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলাও করেন।

 

রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!