লক্ষীছড়িতে কোটি টাকার মালিক পাচ্ছেন সরকারী ৩০ কেজি ভিজিডি কার্ড

লক্ষীছড়ি উপজেলার ১নং লক্ষীছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি কর্মসূচী উপকার ভোগী মহিলা নির্বাচনের তালিকায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, ১নং লক্ষছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের তালিকায় কোটিপতি, আধা সরকারী চাকুরী জীবি, সরকারী অন্য সুবিধাভোগী, ভিডিপির পিসি, সরকারী গুচ্ছগ্রাম রেশন কার্ডধারী লোকের নাম ২০১৯-২০২০ তালিকায় উঠেছে। এলাকায় চিরতরে নাই এমন লোকের নামও এসেছে। ভিজিডির তালিকায় এইসব লোকের নাম আসায় হতদরিদ্র, গরীব, ভুমিহীন লোকের মনে প্রশ্নের জন্ম দেয়। এরা কি ভাবে পান ভিজিডি কার্ড? অনেকে আবার বলছেন টাকার বিনিময়ে মৃত ব্যক্তির নামে এইসব ভিজিডি কার্ড করা সম্ভব।

ভিজিডি কর্মসূচির উপকার ভোগী মহিলা নির্বাচনের তালিকায় ক্রমিক নং ৪৬২ লাকী ইনাম সাথী, স্বামী- সোহাগ হোসেন, গ্রাম-মহিষকাটা, ৬নং ওয়ার্ড ১নং লক্ষীছড়ি ইউনিয়ন। এই মহিলা একজন টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে পাড়াকর্মী । স্বামী মো: সোহাগ হোসেন একজন ভিডিপির পিসি, তার নামে লক্ষীছড়ি গুচ্ছগ্রামে ক্রমিক নং-১২৮ রেশন কার্ড নং-০৯৭৩৫ বরাদ্দ আছে।

নির্বাচনের তালিকায় ক্রমিক নং-৪৭৮, শিশু বালা সাওতাল স্বামী- সুজন কান্তি সাওতাল, গ্রাম- সাওতালপাড়া মহিলা কোন দিনও এলাকায় ছিলনা এবং এলাকায় নাই। ভিজিডি কর্মসূচির উপকার ভোগী মহিলা নির্বাচনের তালিকায় ক্রমিক নং -৩৭০ রেহানা বেগম, স্বামী- শহিদুল ইসলাম, তার জমিজমা পাকাঘর আছে। সচেতন মহল মনে করেন কঠিন স্বার্থান্বেষি মহল এইসব কজ করছেন।

১নং লক্ষীছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার রেজাউল করিম বলেন, যারা পাওয়ার উপযুক্ত তাদের নাম তালিকা দেওয়ার পরও তাদের নামে একটি মহল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। যারা পাওয়ার উপযুক্ত না তাদের নাম কি ভাবে আসে আমি জানি না।

ইউপি ভিজিডি কর্মসূচির উপকার ভোগী মহিলা নির্বাচনের যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রবিল কুমার চাকমা বলেন, আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি করে দিয়েছি তারা নামের তালিকা তৈরী করে পাঠানোর পর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে তা অনুমোদন হয়। তবে সরকারী চাকুরীজীবি, বিত্তবানলোক, অন্য প্রকল্পের সাথে যুক্ত আছে এমন সু-নির্দিষ্ট থাকলে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!