বড়দের কাতারে থেকে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের লক্ষ্য বাংলাদেশের

স্বাধীনতার আগ থেকে বাংলাদেশে ব্যাটে-বলের লড়াইয়ের প্রচলন ছিল। অবিভক্ত বাংলায় ক্রিকেট আসে ইংরেজদের হাত ধরে। অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট যাত্রা শুরু ১৯৭২ সালে। ক্রিকেটকে উন্নতির লক্ষ্যে ওই বছর গঠিত হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ আইসিসির সহকারী সদস্যপদ লাভ করে। ২০০০ সালে লাভ করে পূর্ণ সদস্যপদ। একই বছর টাইগারদেরে টেস্ট অভিষেক হয় ভারতের বিপক্ষে। বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে অভিষেক হয় পাকিস্তানের বিপক্ষে, ৩১ মার্চ ১৯৮৬ সালে। টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় ২০০৬ সালে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

তবে এখন বেশ বদলে গেছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের আগের বাংলাদেশ আর ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের আগের বাংলাদেশের মধ্যে পার্থক্য বিস্তর। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল ‘মিনোজ’ হিসেবে। আর এবার মিনোজ নয়, রীতিমত হুঙ্কার ছাড়ছে ফেবারিটদের সামনে। বুক ফুলিয়ে বলতে পারছে, বিশ্বকাপ জয় করার সুযোগ রয়েছে আমাদেরও।

২০১৫ বিশ্বকাপ থেকেই বদলে যাওয়া বাংলাদেশের শুরু। ২০১৩ আর ২০১৪ সালটা বাংলাদেশের ছিল বেশ হতাশার। মুশফিকুর রহীমদের নেতৃত্বে বাজে সময় কাটাচ্ছিল টাইগাররা। এমনকি এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের কাছে পর্যন্ত হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। সুরেশ রায়নার নেতৃত্বে ভারতের তৃতীয় সারির একটি দলের কাছেও বারবার তীরে এসে তরি ডুবছিল বাংলাদেশের।

এমন পরিস্থিতিতে নেতৃত্বের পালা বদল ঘটালো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বারবার ইনজুরিতে পড়ে ক্যারিয়ারের সোনালি সময় নষ্ট করে ফেলা মাশরাফির কাঁধেই তুলে দেয়া হলো বাংলাদেশের রঙিন পোশাকের ক্রিকেটের দায়িত্ব।
বড়দের কাতারে থেকে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের লক্ষ্য বাংলাদেশের 1
দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই মাশরাফি পেলেন জিম্বাবুয়েকে। ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। তুখোড় নেতৃত্বগুণ কতটা, সেটা ওই সিরিজেই দেখিয়ে দিলেন মাশরাফি। জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করলেন ৫-০ ব্যবধানে।

এরপর এলো কাংখিত বিশ্বকাপ। ক্যানবেরার মানুকা ওভালে আফগানিস্তানকে ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে স্বপ্নের অভিযাত্রা শুরু। মাঝে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেসে যাওয়া, স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে মাশরাফি বাহিনী। কিন্তু সেই সম্ভাবনা বাস্তবায়ন করতে হলে ইংল্যান্ডকে হারাতে হবে।

অ্যাডিলেইডে ইংলিশ বাহিনীর মুখোমুখি হয়ে প্রথম মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবিশ্বাস্য, অতিমানবীয় সেঞ্চুরি, এরপর রুবেল হোসেনের সেই দুটি ডেলিভারি… বাংলাদেশকে ১৫ রানের অসাধারণ এক জয় এনে দিলো। সে সঙ্গে প্রথমবারেরমত টাইগারদের পৌঁছে দিলো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে গেলেও রিয়াদের সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ের মানসিকতা দেখিয়েছিল টাইগাররা।

কোয়ার্টার ফাইনালটি ছিল বিতর্কিত। আম্পায়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের খেসারত বাংলাদেশকে দিতে হয় পরাজয় দিয়ে। তবুও, যে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল বাংলাদেশ সেবারের বিশ্বকাপে, তা সত্যিকারার্থেই গোটা ক্রিকেট বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল প্রবলভাবে।

বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে হ্যাটট্রিক সিরিজ জয় বাংলাদেশকে পৌঁছে দিলো ক্রিকেট বিশ্বের উচ্চাসনে। সেই তিন সিরিজের প্রতিপক্ষদের নাম শুনলেও এক সময় টাইগার ক্রিকেটাররা ভয়ে কাঁপতো। পাকিস্তান, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা- ক্রিকেটের তিন পরাশক্তি।

১৯৯৯ সালে নর্দাম্পটনে পাকিস্তানকে সেই যে হারিয়েছিল, এরপর আর তাদের বিপক্ষে জয় আসেনি। অবশেষে ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে পেয়ে হোয়াইটওয়াশ করে ছাড়লো মাশরাফি বাহিনী। পাকিস্তানের পর ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালো ২-১ ব্যবধানে।

সাফল্যের শুরু তখন থেকেই। দেশের মাটি কিংবা বিদেশের মাটিতেও সাফল্য আসতে থাকলো। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মত দেশের বিপক্ষে টেস্ট জয়, বিদেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে টেস্টে পরাজয়ের স্বাদ দেয়া…, নিয়মিতই এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা যেন বাংলাদেশের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন ট্রফির সেমিফাইনালে খেলাও বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এক সাফল্য। গত চার বছরে বাংলাদেশ জন্ম দিয়েছে একঝাঁক ক্রিকেট তারকা। মোস্তাফিজ, লিটন, সৌম্য, মিরাজ, মোসাদ্দেক, মিঠুন কিংবা সাইফউদ্দিনের মত তারকারা এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে কাঁপিয়ে তুলছে বিশ্ব ক্রিকেটাঙ্গন।

সে সঙ্গে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ পাঁচ ক্রিকেটার, যাদেরকে এখন নাম দেয়া হয়ে গেছে পঞ্চ পাণ্ডব…, মাশরাফি, তামিম, সাকিব, মুশফিক এবং মাহমুদউল্লাহ- তারা তো রয়েছেনই। বরং, আগের চেয়ে আরও বেশি স্বমিহমায় উজ্জ্বল এই পাঁচ ক্রিকেটার। তারা আরও বেশি পরিণত।

এবার বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছে অন্তত বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার। এমনকি বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে অফিসিয়াল সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বিন মর্তুজা বলে দিয়েছেন, নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলে যেতে পারলে এবং ধারাবাহিকতা রক্ষা করলে বিশ্বকাপ জয় করাও অসম্ভব কিছু নয়। যদিও কাজটা কঠিন।

তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা আশায় বুক বাধতেই পারেন। বিশ্বকাপের ঠিক আগমুহূর্তে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথমবারেরমত কোনো টুর্নামেন্ট জয় অনেক বেশি ভূমিকা রাখবে, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালো করার ব্যাপারে।

যদিও বোলিং দারুণ দুঃশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছে সংশ্লিষ্টদের মনে। এমনিতে ইংল্যান্ডের উইকেটে প্রচুর রান উঠবে। তার ওপর মাশরাফির নেতৃত্বে বোলিং ডিপার্টমেন্ট খুব একটা প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের ওপর। মোস্তাফিজ রয়েছেন পুরোপুরি ছন্দহীন। প্রচুর রান দিয়ে ফেলছেন তিনি। কিন্তু উইকেটের দেখা পাচ্ছেন না।

আবু জায়েদ রাহীর ওপর পুরোপুরি আস্থা রাখা যায় না। সাইফউদ্দিন তরুণ বোলার- কতটুকুই বা চাপ নিতে পারবেন? রুবেল হোসেন দলে নিয়মিত নন। বাঁ-হাতি কেবলমাত্র স্পিনার সাকিব আল হাসান। ইনজুরি প্রবণ হওয়ার কারণে তার বিকল্প কোনো বাঁ-হাতি স্পিনার নেই।

একজন লেগ স্পিনারের অভাব তো সব সময়ই বোধ করছে সবাই। অফ স্পিনার হিসেবে রয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মোসাদ্দেক হোসেনও ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অফ স্পিনে দারুণ সহযোগিতা করতে পারেন। তবুও এই বোলিং দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে তো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ!

১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জিতে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথম পা রাখে ১৯৯৯ সালে। নিজেদের প্রথম মিশনেই জায়ান্ট কিলারের খাতায় নাম লেখায় টাইগাররা। ৬২ রানের বড় ব্যবধানে তারা হারিয়ে দেয় ১৯৯২-এর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে। গোটা বিশ্ব প্রথমবারের মতো শুনল বাঘের গর্জন, ক্রিকেটেরই সবচেয়ে বড় আসরে। তবে এর আগেই অপেক্ষাকৃত দুর্বল স্কটল্যান্ডকে বাংলাদেশ ২২ রানে হারিয়ে দেয়। দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে না পারলেও জায়ান্ট কিলিংয়ের তৃপ্তি নিয়েই টাইগাররা সেবারের মতো ফিরে আসে দেশের মাটিতে।

পরেরবার ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার আসর ছিল পুরোপুরি উল্টো অনুভূতির। সেবার শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হার তো এলোই, সঙ্গে কানাডা আর কেনিয়ার বিপক্ষেও মাঠ ছাড়তে হয় মাথা নিচু করে। আরও চার বছর পর ২০০৭ বিশ্বকাপে ক্যারিবীয়ান দ্বীপে গিয়ে আবারও টাইগাররা ফিরে পায় আগের চেহারা।
বড়দের কাতারে থেকে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের লক্ষ্য বাংলাদেশের 2
মাশরাফি বিন মর্তুজার বোলিং তোপে টাইগাররা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ভারতকে হারিয়ে দেয় ৫ উইকেটে। আবারও লেগে যায় জায়ান্ট কিলারের তকমা। এরপর দুর্বল প্রতিপক্ষ বারমুডাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ হিসেবে বেশ প্রতাপ নিয়েই বাংলাদেশ উঠে যায় সুপার এইটে। সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো যেমন সাফল্য তেমনি আবার অপ্রত্যাশিতভাবে আয়ারল্যান্ডের কাছে ৭৪ রানের হার সাফল্যকে ম্লান করে দেয়।

২০০৮ সালের অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারানোর মধ্য দিয়ে ওডিআইর নব্য দানব হিসেবে নিজেদের প্রকাশ করে টাইগাররা। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলংকাকে ও জুলাইয়ে টানা তিন ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায় বাংলাদেশ।

২০১০ সালে বাংলাদেশ নিজেদের আরও তুলে ধরার মিশনে নামে। ইংল্যান্ডকে তাদের মাঠেই ৫ রানে হারায় জুলাইয়ে। তবে অক্টোবরে বিশ্বের অন্যতম সেরা দল নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে টাইগাররা বিশ্ব ক্রিকেটে কাঁপন ধরিয়ে দেয়। পাঁচ ম্যাচের চারটিতে হার ও একটি পরিত্যাক্ত ম্যাচের বোঝা নিয়ে সফর শেষ করে কিউইরা।

সাকিব আর হাসানের নেতৃত্বে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতাই হয়েছে বাংলাদেশের। ভারতের কাছে উদ্বোধনী ম্যাচে বড় হার দিয়ে শুরু। আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে জয়ের খাতাও খুলেছিল সাকিব আল হাসানরা। এর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হয়ে সমালোচনার শিকার হয় বাংলাদেশ।

পরে আয়ারল্যান্ড এবং চট্টগ্রামে গিয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে হইচই ফেলে দেয় বাংলাদেশ। সর্বশেষ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিততে পারলেও রান রেটের ব্যবধানে পেছনে পড়ে যায় বাংলাদেশ। কোয়ার্টার ফাইনালে আর ওঠা হয়নি টাইগারদের। তবে চার বছর পর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড গিয়ে সেই আক্ষেপ ঘুচিয়েছে টাইগাররা। এবার ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে কত দুর যেতে পারবেন মাশরাফিরা? সময়ের কাছেই তোলা থাক সেই উত্তর।

গেম প্ল্যান: মারমুখী ব্যাটিং, ঝড় তোলা পেস এবং লেগ স্পিন। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মতো পরাশক্তির দলগুলোর প্রধান শক্তি এই তিন। তবে সেই জায়গায় বাংলাদেশ বৈচিত্র্য আনবে নিঃসন্দেহে। ৩০০ রানের কম নিলেও টাইগাররা পেস ও স্পিনারদের নিয়ে লড়াই করবে সমানতালে। তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান যদি ২৫ বা ৪০ ওভার পযর্ন্ত টিকে থাকতে পারে তবে স্কোরটা বিশাল হবে। বাংলাদেশের বোলাররা যেকোন সময় ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম। প্রতিপক্ষকে ২৫০-২৮০ রানের মধ্যে বন্দী করার স্পৃহা নিয়ে মাঠে নামবে তারা।

স্পটলাইট: মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ । বাংলাদেশের পঞ্চপাণ্ডব। এই পাঁচ স্তম্ভের ওপর ভরসা টাইগারদের। ম্যাশের মতো অধিনায়ক ও সাকিবের মতো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার আছে টাইগাদের দলে। আছে তামিমের মতো ড্যাশিং ব্যাটসম্যান। মুশি ও রিয়াদ দলের প্রয়োজনে যেকোন মুহুর্তে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে পারে। এছাড়া আছে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ স্পিনার মিরাজ।

২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ: রবিন রাউন্ডের আসরে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ৫ জুন, দ্য ওভালে। শেষ ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে। ম্যাচটি হবে ৫ জুলাই, লর্ডসে।
বড়দের কাতারে থেকে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের লক্ষ্য বাংলাদেশের 3
২০১৯ বিশ্বকাপ স্কোয়াড: মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, আবু জায়েদ রাহি, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। কোচ- স্টিভ রোডস (অস্ট্রেলিয়া)।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!