ব্যাটিংয়ে সম্ভাবনা জাগিয়েও ২৪৪ থেমে গেল বাংলাদেশ

কাকে ফেলে কাকে দোষারোপ করবেন সেটি বড্ড দুষ্কর করে তুলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা। বলতে গেলে ব্যাটিংয়ে বড় স্কোর করার সম্ভাবনা পায়ে ডলে আসলেন তারা।

ওপেনিং জুটিতে ৪৫ রান। ২২.৩ ওভারে ১০০ রান। শেষমেষ সেই ইনিংসই থেমে গেলো ২৪৪ রানে। নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জনো এটা যথেস্ট স্কোর কি? দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভরা এই প্রশ্ন নিয়েই শেষ হলো বাংলাদেশের ব্যাটিং।

আউট হওয়া শুরুর ছয় ব্যাটসম্যানের প্রত্যেকেই একই ভুলের বৃত্তে আটকে আউট হলেন। ছয় জনেই বড় যা নষ্ট করলেন তার নাম- সুন্দর সম্ভাবনা! প্রত্যেকের ব্যক্তিগত স্কোরই সেই প্রমান দিচ্ছে। সৌম্য ফিরলেন ২৫ বলে ২৫ রান করে। তামিম ধীরে শুরু করলেও ইনিংসটা শেষ তার ২৪ রানে। মুশফিক উইকেটে জমে গিয়ে পুরোপুরি নিজের ভুলে রান আউট হলেন। ৩৫ বলে তার ১৯ রানের ইনিংস বাংলাদেশ দলের আরেকটি দুঃখগাঁথা। সাকিব যেভাবে খেলছিলেন তাতে বিশ্বকাপে তার প্রথম সেঞ্চুরির সম্ভাবনাটা ক্রমশ সবুজ হচ্ছিলো। কিন্তু সেই সবুজে হলদে আচঁড় নিয়ে সাকিবের ইনিংস শেষ ৬৪ রানে। ৬৮ বলে ৭ বাউন্ডারিতে সাকিব এই ৬৪ রান করেন। চলতি বিশ্বকাপে এটি তার টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি।

ব্যাটিংয়ে সম্ভাবনা জাগিয়েও ২৪৪ থেমে গেল বাংলাদেশ 1
নিজের ২০০ তম ম্যাচে ফিফটির দেখা পেলেন সাকিব আল হাসান

সম্ভাবনা নষ্ট করার অভিযোগে দুষ্ট মোহাম্মদ মিথুনের ইনিংসও। লম্বা সময় পেয়েছিলেন খেলার জন্য। উইকেটে থিঁতুও হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৩৩ বলে ২৬ রানে আউট হওয়া ইনিংসের জন্য ‘পাসমার্ক’ও পাচ্ছেন না মিথুন।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও আগের পাঁচজনকেই অনুসরণ করলেন। ৪১ বল খেলার পর অমন শট কেন খেলবেন ‘ফিনিসার ব্যাটসম্যান’? তিনি তো তখন পুরো ৫০ ওভার পর্যন্ত খেলবেন? মোসাদ্দেক শেষের দিকে ছক্কা হাঁকানোর জন্য ভুল বোলারকে বেছে নিলেন। শটস খেললেন। তবে সেটা আকাশের অনেক উচুঁতে উঠলো। ফ্ল্যাট শটস হলো না। বাউন্ডারি লাইন থেকে দৌড়ে ভেতরে এসে ক্যাচ নিতে মার্টিন গাপটিলতে তেমন কষ্ট করতে হলো না।

উইকেটে জমে গিয়েও ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস খেলতে না পারার দুঃখ কিছুটা ভোলালেন শেষের দিকে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ব্যাটিংয়ে নেমেই নিজের ব্যাটসম্যানশিপটা দেখালেন এই অলরাউন্ডার।

বাংলাদেশের ২৪৪ রানের স্কোরে সাইফুদ্দিনের সংগ্রহ ২৯ রান। একটু মনে করিয়ে দেই সাকিবের ৬৪ রানের পর সেটাই বাংলাদেশের স্কোরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। কোচ স্টিভ রোডস তার কাঁধে চাপড়ে দিয়ে বলছেন-ওয়েলডান বয়!

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ২৪৪/১০ (৪৯.২ ওভারে, তামিম ২৪, সৌম্য ২৫, সাকিব ৬৪, মুশফিক ১৯, মিথুন ২৬, মাহমুদউল্লাহ ২০, মোসাদ্দেক ১১, সাইফুদ্দিন ২৯, মিরাজ ৭, মাশরাফি ১, মুস্তাফিজ ০*, অতিরিক্ত ১৮, হেনরি ৪/৪৭, বোল্ট ২/৪৪, ফার্গুসন ১/৪০, গ্র্যান্ডহোম ১/৩৯, স্যান্টার ১/৪১)।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!