হাটহাজারী প্রতিনিধি :
হাটহাজারী উপজেলার প্রাচীর হাসপাতাল, নাম তার আধুনিক হাসপাতাল। বয়স প্রায় ২ যুগ। উত্তর চট্টগ্রামে প্রায় সকলের মুখেই শোনা যায় এ নাম। আশে পাশে ভাল কোন ক্লিনিক না থাকায় একক আধিপত্যে ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে এ হাসপাতাল। রাঙ্গামাটি ও ফটিকছড়ি সংযোগ রাস্তা তথা হাটহাজারীর প্রান কেন্দ্র বাসস্ট্যান্ডে এর অবস্থান। এমডি এডভোকেট জামাল, তিনিই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এর দেখাশুনা করেন।
নামকরা সেই আধুনিক হাসপাতালের এমডির বিরুদ্ধেই মারধর ও সন্ত্রাসীদের দ্বারা হুমকি ধমকীর অভিযোগ এনে হাটহাজারী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই প্রতিষ্ঠানের ডাক্তার সৈকত চন্দ্রপাল। গত ১১অক্টোবর ডাক্তার সৈকতের দায়ের করা অভিযোগে হাসপাতালের এমডি এডভোকেট জামাল ও তাঁর ছেলে রোবায়েতকে আসামি করা হয়। হাটহাজারী থানা অভিযোগ নাম্বার ৪২৫৭।
অভিযোগে বলা হয়, গত তিনমাস যাবৎ এ হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগ দেন ডাঃ সৈকত এবং গত ৯ অক্টোবর ডিউটি অফিসার হিসেবে থাকাবস্থায় একটি শিশুর শারিরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় দস্তগীর মাহবুব আলম নামে এক ডাঃ বাচ্চাটিকে চমেক রেফার করেন এবং ডাঃ সৈকতকে কাগজপত্র তৈরি করতে বললে সৈকত তৈরি করে দেন।
এ ঘটনা এমডি জামাল জানতে পেরে সৈকতকে অফিসে ডেকে রেফারের বিষয় নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং এক পর্যায়ে এমডি জামাল ও ছেলে রোবায়েত তাকে কিল ঘুষি মেরে নীলা ফুলা জখম করেন ও পড়নের জামা ছিড়ে দেন। সৈকত ঐ হাসপাতালে কাজ করবেনা বললে তাকে সন্ত্রাসী দিয়ে মারধরের ভয় ভীতি এমনকি জোর পূর্বক হাসপাতালেই রেখে দেবেন বলে শাসায়, তাই জীবনের নিরাপত্তা ও হুমকির ভয়ে ডাঃ সৈকত আইনের আশ্রয় প্রার্থনা করে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগের ব্যাপারে এমডি জামালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের সব কিছুই মিথ্যা বলে দাবি করেন, তিনি বলেন ডাঃ সৈকত আমার কাছে অভিজ্ঞতার একটি সার্টিফিকেট চাইলে আমি না দেওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করেন।
ডাঃ সৈকতের মতামতের জন্যে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি মিথ্যে অভিযোগ করিনি, আমি ৩ মাস যাবৎ ঐ হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে আছি ৬ মাস আগে বদলি কিংবা রেফার ডাঃ হিসেবে আসতাম।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েন (বিএমএ) এ লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন বলে জানান ডাঃ সৈকত। যার প্রেক্ষিতে ১৩অক্টোবর উভয়কে ডাকা হয়েছে।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফছানা বিলকিস ও হাটহাজারী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার লূৎফর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে বিষয়টি গুরুত্বের সহিত খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
হাটহাজারী প্রতিনিধি :
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::