চিরস্থায়ীভাবে ওষুধ নির্ভরতা কখনোই সুস্থতার লক্ষণ নয়: ড. শীবেন্দ্র কর্মকার

চিরস্থায়ীভাবে ওষুধ নির্ভরতা কখনোই সুস্থতার লক্ষণ নয়: ড. শীবেন্দ্র কর্মকার 1আলোকবর্তিকার সেমিনারে ড. শীবেন্দ্র কর্মকার বলেছেন, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস সর্বোচ্চ ২০০ বছরের। কিন্তু পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব ও বসবাসের ইতিহাস হাজার হাজার বছরের। এতেই প্রমাণিত হয় যে, বর্তমান চিকিৎসা পদ্ধতি ছাড়াও অতীতে মানুষ বেঁচে ছিল এবং থাকা সম্ভব। চিরস্থায়ীভাবে ওষুধ নির্ভরতা কখনোই সুস্থতার লক্ষণ নয়।

শনিবার (২০ অক্টোবর) আলোকবর্তিকা এর উদ্যোগে নগরীর জিয়া যাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত “নিরাপদ স্বাস্থ্য ও ন্যাচারাল মেডিসিন” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. শীবেন্দ্র কর্মকার বলেন, আপনার স্বাস্থ্যই আপনার একমাত্র সম্পদ এর দায়িত্ব পুরোপুরি ডাক্তার ও ড্রাগ স্টোরের উপরে ন্যস্ত করে নিশ্চিন্তে ওষুধ খেয়ে যাওয়া কি ঠিক ? কী খাচ্ছেন, কেন খাচ্ছেন জেনে বুঝে খান। কেননা, স্বাস্থ্যই সর্ব সুখের মূল।

শিক্ষাবিদ প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বলেন, ক্রমাগত দুঃশ্চিন্তা ও হতাশায় শরীরের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে, কমতে থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই জনসচেতনতার জন্য আলোকবর্তিকার এই সেমিনার কার্যক্রম অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
বিএসআর এম এর হেড অব সেলস এন্ড মার্কেটিং ইমতিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আলোকবর্তিকার হ্যাপি সায়েন্স কার্যক্রমে আত্মনিয়ন্ত্রণ আত্মশুদ্ধি, বিভিন্ন সমস্যা সমাধানসহ দৈনন্দিন জীবনের নানা প্রয়োজনীয় বিবষয়ের চর্চা করা হয়, এতে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত, এই কার্যক্রম নিয়মিত চলমান থাকুক দেশ ও দশের স্বার্থে। সমাপনি বক্তব্যে আলোকবর্তিকা প্রতিষ্ঠাতা ওসমান ফারুকী বলেন, আলোকবর্তিকা প্রতিষ্ঠাতার পর থেকে মানুষের মনকে আনন্দ দিতে বিবেককে জাগ্রত করার জন্য নানা ধরনের কর্ম করে যাচ্ছে।
আমরা বিশ্বাস করি মানুষের মনে আনন্দ থাকলে সে উন্নত মানুষ হবে। মন জাগ্রত করতে পারলে তবেই জাতি আলোর দিকে ধাবিত হবে এবং দেশ ও দেশের মানুষের প্রকৃত উন্নয়ন ঘটবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মিসেস জান্নাতুল ফেরদৌস, রনি দোভাষ, বিজয় শেখর দাস, রবিউল হোসেন দোভাষসহ আলোকবর্তিকা পরিবারের সদস্যবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!