গ্রিন লাইন বাসের চাপায় পা হারানো রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষের ওপর দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত চার বিচারপতির বেঞ্চ গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে এই আদেশ দেন।
ইতিপুর্বে গত ১২ মার্চ গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বাসচাপায় পা হারানো রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ উক্ত আদেশ ্এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন
আদালতে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষের শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, মো. ওজিউল্লাহ ও সত্য রঞ্জন মন্ডল।
গত ১২ মার্চ হাইকোর্টের আদেশে পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে গ্রিনলাইন পরিবহনকে ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাসেলের অন্য পায়ে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনে এবং কেটে পড়া পায়ের পরিবর্তে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পা লাগানোর খরচও গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বহন করতে বলা হয়েছে।
গত বছরের ১৪ মে বাস চাপায় পা হারানো রাসেল সরকার এর ক্ষতিপূরণ চেয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরকারদলীয় সাবেক এমপি আইনজীবী উম্মে কুলসুম হাইকোর্টে রিট করেন।র্ রাসেল আদালতকে বলেছিলেন, পা হারানোর পর তখন পর্যন্ত গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ তার কোন খোঁজখবর নেয়নি, চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহে একটি পয়সাও ব্যয় করেনি।
শুনানিতে ভিকটিম রাসেলকে কেন এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ঘটনার বিবরনে জানা যায় গত বছরের ২৮ এপ্রিল কেরানীগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে যাত্রাবাড়ীর হানিফ উড়ালসড়কে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসের চাপায় পা হারান রাসেল। রাসেল জানিয়েছিলেন, ফেরার সময় যাত্রাবাড়ীতে গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাস তার গাড়িকে ধাক্কা দেয়। পরে গাড়ি থামিয়ে বাসের সামনে গিয়ে বাসচালককে নামতে বলেন তিনি।
তখন তার সঙ্গে বাসচালকের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাসচালক তড়িঘড়ি করে গাড়ি চালাতে শুরু করলে রাসেল সরতে গেলে উড়ালসড়কের রেলিংয়ে আটকে যান। বাস চালক রাসেলের পায়ের ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে যায়। হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে তার বাঁ পা কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় রাসেল সরকারের বড় ভাই আরিফ সরকার বাসচালক কবির মিয়ার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন।