ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু

ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু 1বিশেষ প্রতিনিধি : আসছে ইদ । বাড়ি যেতেই হবে। সবাই ইতিমধ্যে ঘরমুখো হতে শুরু করেছে। বাস, ট্রেন, ও সাগর পথে যাত্রা করে গন্তব্যে পৌছবেন। ঘরমুখো মানুষের ভিড়ও বেড়েছে প্রতিটি কাউন্টারে। বাসের চেয়ে ট্রেনের যাত্রায় মানুষ সাচ্ছ্যন্দ বোধ করেন বেশি। তাছাড়া বাসের চেয়ে ট্রেনের ভাড়াও কম । সে ক্ষেত্রে ট্রেনের টিকেটের কদর সবচাইতে বেশি। টেনের টিকেটের চাহিদা বেশি হওয়ায় প্রতিবছর দুই ইদে অগ্রীম টিকেট বিক্রি করে কর্তৃপক্ষ । তেমনি পূর্ব ঘোষণা দিয়ে শুক্রবার (১জুন) সকাল ৮টায় নয়টি (সুবর্ণ, তূর্ণা, গোধুলী, মেঘনা, মহানগর, সোনার বাংলা, পাহাড়িকা, উদয়ন ও বিজয়) আন্তঃনগর ও একটি এক্সপ্রেস (চট্টলা) ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে। এই টিকিটেই যেতে হবে আগামী ১০ জুন। সিডিউল অনুযায়ী বাকি দিনগুলোর টিকিট বিক্রি হবে একইভাবে।

এ ব্যাপারে স্টেশন ম্যানেজার মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ১০টি ট্রেন মিলে ১০ জুনের মোট টিকিট আছে ৬ হাজার ৯৩৭টি। এর মধ্যে কাউন্টারে পাওয়া যাবে ৪ হাজার ৯৭১টি। অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে ২৫ শতাংশ। ৫ শতাংশ ভিআইপি এবং ৫ শতাংশ স্টাফ কোটা। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত টিকিট বিক্রির কার্যক্রম চলবে। ১০ ও ১১ জুনের ট্রেনগুলোর জন্য টিকিটের চাপ কম থাকবে। বলেন স্টেশনের দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তা।

ট্রেনের ধারণ ক্ষমতার বিষয়ে রেলের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রতি বগিতে স্লিপার হলে ১৮টি, এসি চেয়ার হলে ৫৫টি এবং শোভন চেয়ার হলে ৬০ সিট থাকবে। ২ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত যথাক্রমে ১১ থেকে ১৫ জুনে যাত্রার টিকিট বিক্রি হবে কাউন্টারে। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। একজন যাত্রী একাধিক ট্রেনের ও ভিন্ন ভিন্ন শেণির টিকিট নিতে পারবেন না। অগ্রিম টিকিট ফেরত নেয়া হবে না।

তিনি বলেন, সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা ট্রেনে আসনবিহীন (দাঁড়ানো) টিকিট ইস্যু করা হবে না। আর অন্যসব ট্রেনে যাত্রার দিন যাত্রীর অনুরোধে আসনবিহীন টিকিট ইস্যু করা হবে। টিকেটের চাহিদার ওপর নির্ভর করে অতিরিক্ত বগি লাগানো হবে। তাও ১১ থেকে ৫ জুনের ট্রেনে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!