ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৩

চট্টগ্রাম কলেজের সামনে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া, গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু গ্রুপের তিনজন ছাত্রলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ছুটোছুটি করতে গিয়ে অন্তরা নামে এক পথচারীসহ আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।

 

গুলিবিদ্ধ তিন ছাত্রলীগ কর্মীর মধ্যে ইমামের পিঠে এবং জীবন ও বাপ্পীর পায়ে গুলিedca8c0c6e14f8abd8f161b0616d2dca-579db8dcb26a9 লেগেছে। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

 

জঙ্গিবাদবিরোধী মানববন্ধন করতে গিয়ে আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দু গ্রুপের মধ্যে প্রথমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া পড়ে সংঘর্ষ  ও একপর্যায়ে গুলি পালটা গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল মোস্তফার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষই একে অন্যকে দায়ী করে গুলিবিদ্ধদের নিজেদের কর্মী দাবী করছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার সময় নুরুল মোস্তাফা টিনুর অনুসারীরা চট্টগ্রাম কলেজ ও হাজী মুহাম্মদ মুহসীন কলেজে জঙ্গিবাদবিরোধী মানববন্ধন করে। পরে তারা মিছিল নিয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে গিয়ে সেখান থেকে ফেরার সময় চট্টগ্রাম ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম সমর্থকদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এতে তিনজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পথচারীসহ অনেকে আহত হয়েছে।

 

চমেক হাসপাতালের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পংকজ বড়ুয়া বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রণি ও টিনু গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে জীবন, বাপ্পী ও ইমাম নামের তিন কর্মী আহত হয়েছেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কলেজ সূত্রে জানা যায়, কলেজের ভেতরে ও বাইরে দুই পক্ষ অবস্থান নিয়েছে। ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি থমথমে। কলেজ সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়েছে। তবে অবরোধ সড়িয়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে প্রশাসনের জোড় প্রচেষ্টা চলছে।

রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!