এহসান আল-কুতুবী : বীর চট্টলার কিংবদন্তী পুরুষ, জনপ্রিয় শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুকে তার কথামত মায়ের পাশে দাফন করা হয়েছে। শনিবার বাদ আসর নামাযে জানাযা শেষে নগরীর স্টেশন রোডের চৈতন্যগলির বাইশ মহল্লা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বিকাল ৩ টার দিকে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নেয়া হয় জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গনে। সেখানে হাজারো মানুষ তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান।
এরপর বাদ আসর আইয়ুব বাচ্চুর নামাযে জানাযা হয়। জানাযায় ইমামতি করেন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের খতিব অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ আবু তালেব মো. আলাউদ্দিন।
জানাযায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. মো. শাহাদাত, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, যুবলীগের আহবায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, পুলিশ কমিশনার মাহবুবর রহমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার মাত্র ৫৬ বছর বয়সে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান আইয়ুব বাচ্চু। তিনি ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার ও প্লেব্যাক শিল্পী। ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
শুক্রবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আইয়ুব বাচ্চুর প্রতি শেষশ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর জাতীয় ঈদগাহের নামাযে জানাযাতেও ঢল নামে ভক্তদের।
সেখান থেকে মরদেহ রাখা হয় স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে। কানাডা থেকে আহনাফ তাজওয়ারও অস্ট্রেলিয়া থেকে মেয়ে ফাইরুজ সাফরা আসার পর স্ত্রী ফেরদৌস আকতার স্বামীর মরদেহ নিয়ে শনিবার সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌঁছান।
সেখান থেকে আইয়ুব বাচ্চুকে সরাসরি নেয়া হয় তার শৈশবের প্রিয় জায়গা নানা বাড়ি, চট্টগ্রামের দক্ষিণ পূর্ব মাদারবাড়িতে।
নানা বাড়ি থেকে রূপালি গিটারের জাদুকরের মরদেহ বিকেল ৩টার কিছু পরে আনা হয় চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গনে। সেখানে ভক্তরা শেষবারের মতো দেখে নেন প্রিয়শিল্পীর মুখ। এরপরই মায়ের পাশে দাফন করা হয় বাংলাদেশে রকগানের অন্যতম পুরোধা আইয়ুব বাচ্চুকে।