এহসান আল-কুতুবী : “আমাকে ডাকাতির ভাগ না দিয়ে সে আবার আমাকে ডাকাতি করতে নিয়ে গেছে”, আমি ওর কাছ থেকে টাকা পাই। সে আমার সাথে ডাকাতি করেছে, সে বড় ডাকাত । ডাকাতি করে দলনেতার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টাকা না পেয়ে ক্ষোভের সাথে ডাকাত নূরুল ইসলাম তার বাম পাশে থাকা দলনেতা নূরুচ্ছফা তালুকদার পারভেজকে দেখিয়ে দিয়ে এ কথাগুলো বলে । তার অন্যান্য সাথিরা হল দলনেতা নূরুচ্ছফা তালুকদার পারভেজ (২৮), জামাল (৪০), সেলিম উদ্দিন (২৯), জাহাঙ্গীর আলম (৩০) ও মিজান (৩৫)।
আজ সোমবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন পূর্বে রাঙ্গুনিয়া থেকে গ্রেফতার হওয়া ডাকাত নুরুল ইসলাম সহ তার সহযোগীরা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়।
নূরুল ইসলাম ক্ষোভস্বরে বলে, দলনেতা তাকে চাচাশ্বশুরের বাড়িতে ডাকাতির কথা বলে আরেকবার ডাকাতি করিয়েছে। টাকা দেবে বলে আমার ভাগের টাকাও খেয়ে ফেলেছে। আমাকে মাত্র ২০০ টাকা দিয়েছে। ও বড় ডাকাত স্যার, ডাকাতের উপর ডাকাত, ডবল ডাকাত। আমি টাকা খুঁজলে বলে, আরেকবার কাম (ডাকাতি) করলে টাকা দেব। তোমাকে বাড়তি বেতন দেব। কত বড় ধান্ধাবাজ চিন্তা করে দেখেন স্যার। এ সময় দলনেতা লজ্জায় মাথা নিচু করে রাখে।
নূরুল ইসলাম পুলিশকে জানায়, সে ইটভাটায় কাজ করে। রাঙ্গুনিয়ার স্বনির্ভর ইউনিয়নের শান্তিনিকেতন এলাকায় পারভেজের চাচাশ্বশুরের বাড়িতে ডাকাতির জন্য তাদের ঠিক করা হয়েছিল। পারভেজসহ তারা মোট ১০ জন ইলিয়াসের বাড়িতে যায়। কিন্তু গ্রিল কাটার সময় চাচাশ্বশুরের ছেলে ইলিয়াস জেগে উঠে চিৎকার করতে থাকে।
এসময় তারা ওই বাড়িতে ডাকাতি না করে পার্শ্ববর্তী মজুমদারখীল এলাকায় চলে যায় এবং শাহ আলমের বাড়িতে ডাকাতি করে। তারা ওই বাড়ি থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, ৫টি মোবাইল, ১টি ল্যাপটপ ও ১টি ট্যাব লুট করে নিয়ে যায়।
জেলা পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন
রাঙ্গুনিয়া থেকে ধৃত ৬ ডাকাতের বিষয়ে জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) নূর ই আলম মিনা।
সংবাদ সম্মেলনে তিঁনি বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিল রাঙ্গুনিয়ায় ডাকাতি ও হত্যা শেষে চক্রটি নগরীতে এসে অবস্থান করছে। এজন্য আমরা সিএমপির সহযোগিতা চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সফর থাকায় সিএমপি আমাদের সহযোগিতা করতে পারেনি। এজন্য আমরা পিবিআইর মেট্রোর এডিসির সহযোগিতা চেয়েছিলাম। প্রযুক্তিগত বিষয়ে পিবিআই আমাদের সাহায্য করেছে। ফলে ৬ ডাকাতকে ধরা সম্ভব হয়েছে।