সমস্যায় জর্জরিত কর্ণফুলীর বড়উঠান স্বাস্থ্যকেন্দ্র

কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের একমাত্র উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি যেন নিজেই রোগী! গত কয়েক বছর ধরে এটি জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। বিদ্যুৎ, আসবাবপত্র, দরজা-জানালা এমনকি পানির ব্যবস্থাও নেই এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে। প্রতিদিন এখানে আশপাশের গ্রাম থেকে আনুমানিক ৫০ জনের মতো রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।

সূত্র জানায়, এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, একজন উপ-সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও একজন এমএলএসএস থাকলেও খালি আছে ফার্মাসিস্ট ও নৈশপ্রহরীর পদ। সব মিলিয়ে খুব বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে এ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে কোনো সাইনবোর্ড নেই। কাছে গিয়ে না দেখলে বোঝারও উপায় নেই এটি একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। হাসপাতালটিতে যাতায়াতের জন্য নেই কোনো সড়ক। এছাড়া ভবনের চারদিকে কাচের দরজা-জানালাগুলো ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। দায়িত্বরত ডাক্তারদের জন্য নেই কোনো ভালো আসবাবপত্র। ভবনজুড়ে ফাটল। ফলে যে কোনো মুহূর্তে এ হাসপাতালে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

সেবা নিতে আসা নাছিমা আকতার বলেন, ‘কর্ণফুলী উপজেলায় কোনো হাসপাতাল না থাকায় এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি আমাদের একমাত্র ভরসা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে এটি। নেই কোনো বিদ্যুৎ। এমনকি ডাক্তারদের রোগী দেখতে হয় দাঁড়িয়ে। বসার তেমন কোনো চেয়ার-টেবিলও নেই। হাসপাতালে আসা যাওয়ার জন্য কোনো সড়ক না থাকায় বর্ষাকালে রোগীদের আসতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কর্তৃপক্ষ এটি সংস্কারের উদ্যোগ নিলে আশপাশের গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা উপকৃত হবে।

হাসপাতালে দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র হলেও এখানে অবকাঠামোগত কোনো কিছুই নেই। এতে রোগীদের পাশাপাশি কষ্ট পাচ্ছি আমরাও।’

জানতে চাইলে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু ইউসুফ মো. ওয়াহিদ উল্লাহ বলেন, ‘এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!