লোহাগাড়ায় হাসপাতাল কতৃপক্ষের অবহেলায় প্রাণ দিতে হল এক শিশুকে

লোহাগাড়ায় হাসপাতাল কতৃপক্ষের অবহেলায় প্রাণ দিতে হল এক শিশুকে 1সাত্তার সিকদার,লোহাগাড়া : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার লোহাগাড়া জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারের অবহেলায় তিন মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ২৪শে সেপ্টেম্বর রবিবার বিকাল ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়, মৃত শিশুর নাম রাকিবুল হাসান। শিশুটি সাতকানিয়ার করইয়ানগর হাবিয়ার পাড়ার আবু তাহের এর বাড়ির অাবুল কালাম ও কামরুন্নাহার এর সন্তান। শিশুটি ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুন মুন্নার তত্বাবধানে হাসপাতালে ভর্তি হলেও তিনি গত ৩/৪ দিন যাবৎ হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেননা বলে জানিয়েছেন শিশুর মা কামরুন্নাহার বেগম।
রকিবুল হাসানের বাবা অাবুল কালাম কান্নাজড়িত কন্ঠে প্রতিবেদককে বলেন, লোহাগাড়া জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় ও ডাক্তারদের অবহেলায় অকালে প্রাণ দিতে হয়েছে আমার সন্তানটির, আমরা বার বার আমাদের সন্তানটিকে অন্যত্র নিয়ে যেতে চাইলেও জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দেয়নী ডাক্তাররা বলেছে ডাঃ মুন্না আসলে রোগীর ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন অামি এদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জরুরী বিভাগের ডাঃ রিজুয়ান উদ্দিন নাদিম বলেন আমি ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুন মুন্নার দেওয়া প্রেসক্রিপশন অনুসারে চিকিৎসা দিয়েছি, রোগীর স্বজনদের অভিযোগ সত্য নয়।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুন মুন্না বলেন আমি রোগীকে ভর্তি দিয়ে ব্যাবস্থাপত্রে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে এসেছি, আমি হাসপাতালে উপস্থিত না থাকা অবস্থায় ডিউটিরত ডাক্তার চাইলে প্রয়োজন অনুসারে ঔষধ পরিবর্তণ সহ ছাড়পত্র দিতে পারে এক্ষেত্রে আমার নাম ধরে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই, রোগীর স্বজনরা চাওয়ার পরও যদি ছাড়পত্র না দেওয়া হয় তাহলে সেটা হাসপাতাল কতৃপক্ষের দায়িত্ব এব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবনা।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে লোহাগাড়া জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন আমি বাইরে ছিলাম তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিনা, সকলের সাথে কথা বলার পরে বিস্তারিত বলতে পারব।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মুহাম্মদ হানিফ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি, রোগীর স্বজনরা ছাড়পত্র চাইলেও হাসপাতাল কতৃপক্ষ ছাড়পত্র না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন রোগীর স্বজনরা চাইলেই সাথে সাথে ছাড়পত্র দিতে হবে এটাই নিয়ম কারণ রোগীর স্বজনরা যেখানেই চিকিৎসা নিয়ে সন্তুষ্ট হয় সেখানেই তারা চিকিৎসা নিতে পারে, কেউ যদি ছাড়পত্র না দেয় সেটা অন্যায়, আমি এখনো কোন অভিযোগ পাইনি, সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ অাইনগত ব্যবস্থা নিব।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!