মিরসরাইয়ে পৌর কাউন্সিলরের নির্দেশে দোকানে হামলার অভিযোগ

মিরসরাইয়ে পৌর কাউন্সিলরের নির্দেশে এক দোকানে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তারা ওই দোকানের স্বত্বাধিকারী নিখিল দাসকে মারধর করে নগদ টাকাসহ দোকান ও গোডাউনের সব তালাচাবি নিয়ে যায়।

সোমবার (১০ জুন) সকালে মিরসরাই পৌরসভার সুফিয়া রোড এলাকায় নন্দন ডেকোরেশনের দোকানে এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে ওই দোকানের প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন নিখিল দাস।

ক্ষতিগ্রস্ত নিখিল দাস অভিযোগ করেন, মিরসরাই পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডেকোরেশনের মালামাল নিয়ে কোন টাকা দিতেন না। আমি তার কাছ থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা পাওনা আছি। রোববার (৯ জুন) রাতে কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের ভাই আজম কমিশনার মৃত্যুবরণ করেন। এরপর মরহুমের দাফন অনুষ্ঠানের জন্য ওইদিন রাতে কাউন্সিলর ইকবালে নির্দেশে ডেকারেশনের মালামাল নেওয়া হয়। সোমবার (১০ জুন) সকালে কাউন্সিলরের নির্দেশে সাইমুন, কালা মিয়ন, মিজানসহ আরও কয়েকজন আবার এসে কাউন্সিলরের বাড়িতে একটি প্যান্ডেল করে দিতে বলে। এ সময় আমি প্যান্ডেল তৈরির মিস্ত্রি না থাকায় প্যান্ডেল তৈরিতে অপারগতা প্রকাশ করি এবং বকেয়া টাকার কথা বলি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর এবং দোকানের মালামাল ভাংচুর করে। মারধরের সময় তারা বলতে থাকেন ব্যবসা চালাতে হলে (প্রতি মাসে) ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। তাদের হামলায় আমার দোকানের তিন শতাধিক প্লেট, কয়েকশ গ্লাস, পানির জগসহ বিভিন্ন মালামাল ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা নগদ ৩০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
পরে আমি প্রাণের ভয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিনকে অবহিত করি এবং মিরসরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিই।

অভিযোগ সম্পর্কে পৌর কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বলেন, আমি বাড়িতে ব্যস্ত ছিলাম। দোকানে ভাংচুরের বিষয়টি আমি অনেক পরে শুনেছি। আর চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি দোকান মালিক বাড়িয়ে বলেছে। তিনি দোকান মালিকের বকেয়া টাকার বিষয়টি এড়িয়ে যান।

মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল দেবনাথ বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!