৫৭০ কিলোমিটার/ ভাঙাচোরা সড়ক সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রামে জোনে

দেশের সবচেয়ে বেশি ভাঙাচোরা সড়ক রয়েছে অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জোনে—যা জরিপকৃত মোট সড়কের ৩০ দশমিক ২৬ শতাংশ। জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা সড়ক মিলে জোনটিতে দুর্বল সড়ক ২৯১ কিলোমিটার। খারাপ সড়কের পরিমাণ ১৪২ কিলোমিটার। আর খুব খারাপ অবস্থায় আছে চট্টগ্রাম জোনের ১৩৭ কিলোমিটার সড়ক-মহাসড়ক।

বর্ষা মৌসুমের আগে সড়ক-মহাসড়কের সংস্কার করার প্রয়োজন বেশি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনের চট্টগ্রাম জোনের সড়কগুলোর। সারাদেশে করা এক জরিপে দেখা গেছে, মোট সড়কের ৩০ দশমিক ২৬ শতাংশ সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। চট্টগ্রাম জোনের মোট চট্টগ্রাম জোনে ৫৭০ কিলোমিটার ভাঙাচোরা সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় মহাসড়ক ১১৯ কিলোমিটার, আঞ্চলিক মহাসড়ক ১৫০ ও জেলা সড়কের পরিমাণ ৩০১ কিলোমিটার।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের মহাসড়ক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা (এইচডিএম) বিভাগের ‘মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন নিডস রিপোর্ট অব ২০১৯-২০২০’ এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত সওজের ১৭ হাজার ৪৫২ কিলোমিটার সড়কে জরিপ চালিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে এইচডিএম।

ইন্টারন্যাশনাল রাফনেস ইনডেক্স (আইআরআই) মানের ভিত্তিতে জরিপ করা সড়কগুলোকে ‘ভালো’, ‘চলনসই’, ‘দুর্বল’, ‘খারাপ’ ও ‘খুব খারাপ’ শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। জরিপকালে ৮ হাজার ৭২৩ কিলোমিটার বা ৪৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ ভালো, ৪ হাজার ৪৮২ কিলোমিটার বা ২৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ চলনসই, ২ হাজার ২১০ কিলোমিটার বা ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ দুর্বল, ১ হাজার ১৯ কিলোমিটার বা ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ খারাপ ও ১ হাজার ১৬ কিলোমিটার বা ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ সড়ক খুব খারাপ অবস্থায় পেয়েছে এইচডিএম। দুর্বল, খারাপ ও খুব খারাপ অবস্থায় আছে ২৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ সড়ক। সওজের আওতাধীন সড়কের পরিমাণ ২১ হাজার ৫৭৬ কিলোমিটার। এ হিসাবে দুর্বল, খারাপ ও খুব খারাপ অবস্থায় আছে ৫ হাজার ২৫১ কিলোমিটার সড়ক। এ তিন শ্রেণীর সড়ক-মহাসড়কের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি সওজের চট্টগ্রাম জোনে।

তবে মহাসড়ক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা (এইচডিএম) বিভাগের প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত হতে পারেননি সওজের চট্টগ্রাম জোনের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী খান মো. কামরুল আহসান। তিনি দাবি করেছেন, ‘সার্বিকভাবে এ জোনের সড়কগুলো বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে। এখন এইচডিএম অনেকগুলো সূচকের ভিত্তিতে ভাঙাচোরা সড়কের পরিমাণ নিরূপণ করায় প্রতিবেদনটি না দেখে বলা যাবে না।’

এডি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!