পটিয়ায় অনুমোদন ছাড়াই চলছে বহুতল ভবন নির্মাণ

পটিয়া পৌরসভার কোন অনুমোদন ছাড়াই চলছে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ। নির্মাণাধীন ভবনটির জায়গায় ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছে না। এনিয়ে পুলিশের ভূমিকাও বেশ প্রশ্নবিদ্ধ।

অভিযোগে জানা যায়, নির্মাণাধীন ভবনের ভূমিতে ইমারত নির্মাণ, হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ও ভুমির নক্সা কোনটার অনুমোদন নেই। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের পটিয়া থানার দক্ষিণ পাশে ভবনটি নির্মাণ কাজ করছেন উপজেলার খরনা এলাকার মো. আইয়ুব আলী নামের এক প্রবাসী। ইমারত নির্মাণ আইন না মানায় বহুতল ভবনের কাজ বন্ধ রাখার জন্য এরইমধ্যে মেয়র স্বাক্ষরিত পৌর কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশ দিলেও পৌর মেয়রের নোটিশকে বৃদ্ধাঙ্গালী দেখিয়ে নির্মাণ কাজ করছেন বলে স্থানীয়রা জানায়। নির্মাণাধীন জায়গা নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতে একটি আপিল মামলা বিচারাধীনসহ স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। পৌরসভার নোটিশ ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিনরাতে ইমারত নির্মাণ কাজ চলছেই।

অভিযোগ ওঠেছে, প্রবাসী আইয়ুব প্রশাসনের সঙ্গে সখ্যতা থাকায় কোন ধরণের অনুমোদন ছাড়াই নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ। দক্ষিণ চট্টগ্রামের একমাত্র প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার নক্সা ছাড়াই ইমারত নির্মাণ করায় ১৯৯৬ এবং স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর (দ্বিতীয় তফশীল ৩৫,৩৬ নং ক্রমিক মোতাবেক) লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

পটিয়া পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌর সদরে উপজেলার খরনারা প্রবাসী মো. আইয়ুব আলী বহুতল একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। এই জায়গা নিয়ে পটিয়া পৌরসভার সোনা মিয়ার পুত্র ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল।আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে পটিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ বহুতল ভবনের নক্সা অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তারপরও প্রবাসী আইয়ুব আলী পৌর কর্তৃপক্ষ ও আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিনে ও রাতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

পটিয়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বহুতল ভবনের ইমারত নির্মাণে কোন ধরনের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। যার কারণে কাজ বন্ধ রাখার জন্য প্রবাসী মো. আইয়ুব আলীকে একটি নোটিশও পাঠানো হয়েছে । এছাড়া বিরোধীয় ওই জায়গাটি নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন। মামলায় নিষেধাজ্ঞা থাকার কপি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়ায় নক্সা অনুমোদন দেওয়া যাচ্ছে না। প্রবাসী নির্দেশ অমান্য করে যদি কাজ করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। তিনি বলেন, পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদ বিষয়টি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এবং থানা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ, জায়গাটি এক সময়ে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও পটিয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শামশুল আলম মাস্টারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। পরবর্তীতে তার ভাগিনা উপজেলার হাইদগাও এলাকার জাহাঙ্গীর আলম জায়গাটির মালিক হন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!