দুই বছর ধরে বেহাল দশায় আনোয়ারা সিইউএফএল সড়ক

সংস্কারের অভাবে বেহাল দশা চট্টগ্রামের আনোয়ারা সিইউএফএল সড়কের। বছরের পর বছর বৃষ্টিতে বড়-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে এই সড়কের চাতরী চৌমুহনী বাজার থেকে কাফকো হাউজিং পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার সড়কের অবস্থা নাজুক। যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে। এছাড়াও সড়কের কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কাফকো, সিইউএফল, কর্ণফুলী বঙ্গবন্ধু টানেল, আনোয়ারা পাওয়ার প্ল্যান্ট, কেইপিজেড, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, পারকি সমুদ্র সৈকত, চসিকের পনের নম্বর ঘাট দিয়ে চট্টগ্রাম শহর, শাহ্ আমানত বিমান বন্দরে যাতায়াতকারী ও উপজেলার চার ইউনিয়নের বাসিন্দাসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিল্প কারখানার শ্রমিক, কর্মকর্তা, সাধারণ পথচারীরা।

স্থানীয়রা বলছেন, কর্তৃপক্ষ সড়কটির নাজুক অবস্থা দেখেও না দেখার ভান করছে। উদ্যোগ নিচ্ছে না সংস্কারের।

বুধবার (২২ মে) সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটি চাতরী চৌমুহনী বাজার, মুহাম্মদপুর, বৈরাগ, তৈলের দোকান, আমান উল্লাহ্ পাড়া, পানির টাংকি, কেইপিজেড গেইট, কাফকো হাউজিং, ফেরিঘাট এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচল ব্যহত হচ্ছে। কয়েক বছর আগে সড়কটির কিছু অংশ সংস্কার করা হলেও বৃষ্টি ও ভারি যানবাহন চলাচলে কারণে তাও নষ্ট হয়ে গেছে।

জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ব সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড সিইউএফএল প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে চাতরী চৌমুহনী বাজার থেকে রাঙ্গাদিয়া সার কারখানা পর্যন্ত সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ সরকারের অনুমোদন পেলে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি নির্মাণ করে। এরপর থেকে বছরের পর বছর তাঁরা সংস্কার কাজ করলেও ওই এলাকায় ডিএপি সার কারখানা, কাফকো সারকারখানা, কোরিয়ান ইপিজেড, চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল, আনোয়ারা পাওয়ার প্ল্যান্ট, সর্বোপরি কর্ণফুলী বঙ্গবন্ধু টানেল কর্তৃপক্ষের ভারি যানবাহন চলাচলের ফলে সড়কটি দীর্ঘ দুই বছরের অধিক সময় ধরে যানবাহন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

কোরিয়ান কেইপিজেডের শ্রমিক মোহাম্মদ মাসুম বলেন, প্রতিদিন কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে দেড় ঘণ্টা আগে বের হতে হয়। সড়কটি ভালো হলে ১০ মিনিটের পথ। আর যেতে লাগে ৪০ মিনিট। রোদের সময় এ সড়ক দিয়ে প্রচণ্ড ধুলাবালির জন্য মুখে কাপড় দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। বৃষ্টি হলে সড়ক হয়ে যায় পুকুর। তাই এ সড়ক দিয়ে কোন গাড়ি যেতে চায় না, বাড়তি ভাড়ায় যেতে হয়।

বৈরাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‌‌গত দুই বছর ধরে এ সড়কটি সংস্কার করতে বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে ঘুরপাক খাচ্ছি। সম্প্রতি সিইউএফএল, কাফকো, কেইপিজেড ও বঙ্গবন্ধু টানেল কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির সহকারী সচিব রিদোয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েম দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে সিইউএফএল, কাফকো, কেইপিজেড ও বঙ্গবন্ধু টানেল এ প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ উদ্যোগে ৩ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!