জোরারগঞ্জে ফণীর আঘাতে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, তিন গৃহবধূ আহত

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে মিরসরাই জোরারগঞ্জের চুনিমিঝির টেক, টেকেরহাট, হাসানাবাদ, হাফিজগ্রামে ২৭ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও গাছ পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন তিন গৃহবধূ। তারা হলেন, করেরহাট দক্ষিণ অলিনগরের জামশেদ আলমের স্ত্রী বিবি খাদিজা (২৩), বেদেপল্লীর মৃত মনা মিয়ার স্ত্রী জাকিয়া বেগম (৬০) ও পরাগলপুর গ্রামের নারায়ণ দাশের স্ত্রী রীণা রাণী দাশ (৪০)।

আহতদের তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরবর্তীতে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

শনিবার (৪ মে) ফণীর আঘাতে ইছাখালীর হাজী আজিজ উল্লাহ ভূঁইয়া বাড়ির ইকবাল হোসেন, হারুণ সওদাগর, দিনমজুর হোরা মিয়া, হাসিম, সিএনজি চালক মো. ইউসুফ, দিনমজুর ইউসুফ, গফুর, নূর হোসেন, আলম, বশর সওদাগর, আবছার বাবুর্চি, আলাউদ্দিনের পরিবারসহ টেকেরহাট ও ভাঙ্গনির এলাকায় আরও ১৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব শেষ হতেই জোরারগঞ্জ থানার উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষ আশ্রয়স্থল থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, ফণীর প্রভাব কমে আসাতে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজন নিজগৃহে ফিরতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নে ২৭ ঘরবাড়ি, দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বৈদ্যুতিক খুঁটির উপর গাছপালা পড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!