চন্দনাইশে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাচাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ

নুরুল আলম, চন্দনাইশ : চন্দনাইশ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকাশিত নামের তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি যাচাই-বাছাই কমিটিতে থাকা সদস্য সম্পর্কেও প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে এবং কমিটিতে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছে। বর্তমান সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা প্রকাশের জন্য গত ডিসেম্বর মাসে এক প্রঞ্জাপন জারি করে। তারই প্রেক্ষিতে জানুয়ারী মাসের শেষ দিকে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যাচাই- বাছাই পূর্বক গত ৫ ফেব্র“য়ারী ৪৫জন মুক্তিযোদ্ধার একটি নামের তালিকা প্রকাশ করে। এতে ২৪ জনকে দ্বিধা-বিভক্ত মত ও সর্বসম্মত ক্রমে বাদ দেয়া হয়েছে ৫৮জনকে। তবে দিদ্বাবিভক্তি ও বাদ পড়া ব্যক্তিরা তালিকা প্রকাশের ১৫দিনের মধ্যে (জামুকা) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বরাবরে তাদের অভিযোগ উত্থাপন করতে পারবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এদিকে গত কয়েকদিনে প্রায় ৪৫জন মুক্তিযোদ্ধা (জামুকায়)তাদের অভিযোগ/আবেদন দায়ের করেছেন বলে সূত্রে জানা যায়। যাচাই-বাছাই সম্পর্কে অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী হাবিলদার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো:আবু আহমদ ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘চট্টগ্রাম প্রতিদিন’কে জানান, ‘‘বাছাই কমিটিতে যারা ছিলেন তাদের অনেকেই আদৌ মুক্তিযোদ্ধা কিনা আমার সন্দেহ রয়েছে’’। মুক্তিযোদ্ধা, হারুন আল্-জাফর চৌধুরী এক মন্তব্যে বলেন ‘‘অনেক ব্যক্তি অমুক্তিযোদ্ধা হয়েও তালিকায় স্থান পেয়েছে এবং বেশ কতিপয় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হয়নি। এদিকে দেশের বীর শ্রেষ্ট সন্তানদের তালিকা বাছাইয়ের অনিয়ম সম্পর্কে সাধারন মানুষের মধ্যেও নানা প্রশ্ন ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!