এবারও জলোচ্ছ্বাসে ভাসতে পারে চট্টগ্রামের নিচু এলাকা

আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিন

ফণী আতঙ্কে কাঁপছে বাংলাদেশ। ক্যাটাগরি ফাইভ ঘূর্ণিঝড় আজ শুক্রবারেই বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। বলা হচ্ছে, গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে ফণী। নদীগুলোতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ৫ ফুট উপর দিয়ে বইছে৷ চরম আতঙ্কে ভাঙনবলিত এলাকার মানুষজন।

fani-path

এর মধ্যেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে আরেক আতঙ্কের কথা। ঘূর্ণিঝড় ফণী উপকূল অতিক্রম করার সময় বাংলাদেশের উপকূলীয় নিচু এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় উচ্চতার জলোচ্ছাস দেখা গিয়েছিল ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের সময়। ওই বছরের ১২ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ের সময় ১০ থেকে ৩৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছিল চট্টগ্রামের নিচু এলাকা। ঝড় উপকূল পার হওয়ার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ২২৪ কিলোমিটার।
১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও চট্টগ্রামে ১২ থেকে ২২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল। ওই ঝড়ের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিল ২২৫ কিলোমিটার।

আবহাওয়ার এক বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, সামনে অমাবস্যা থাকায় উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে এই জলোচ্ছ্বাস দেখা যেতে পারে।

ওই বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের স্থলভাগ পার হওয়ার সময় চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলায় ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ এবং সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঝড়ো হাওয়ায় জানমালের ক্ষতির পাশাপাশি জলোচ্ছ্বেসের কারণে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘূর্ণিঝড় আঘাত আনার আগেই উপকূলীয় নিচু এলাকা থেকে মানুষ ও গবাদি পশু সরিয়ে নেওয়া হয় তবে প্রাণক্ষয় কমানো যায়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!